সিলেট টেস্ট জিততে দরকার ৩২১

সোমবার বাংলাদেশের তিন স্পিনারের ঘূর্ণিতে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১ রানে অল আউট হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। যদিও তার আগে ৩২১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে যে লক্ষ্য পার করাটা বেশ কঠিনই বটে।

এদিন জিম্বাবুয়ের ১০টি উইকেটই নেন বাংলাদেশর তিন স্পিনার—তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল ইসলাম অপু। তাইজুল ৫টি, মিরাজ ৩টি ও অপু নেন ২টি উইকেট।

দিনের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজের ঘূর্ণিতে উড়ে যায় চারির (৪) স্টাম্প। জিম্বাবুয়ের দলীয় রান তখন ১৯। তিন নম্বরে নামা টেইলর শুরু থেকেই মারমুখী খেলতে থাকেন। ২৫ বল খেলে ৪টি চারে সাজিয়ে করে ফেলেন ২৪ রান। তবে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দী করে তাকে থামিয়ে দেন তাইজুল। দলীয় ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের।

লাঞ্চ থেকে ফিরেই শতরানের কোটা পার করে ফেলে জিম্বাবুয়ে। তবে এই জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই মাসাকাদজাকে আউট করেন মিরাজ। ইনিংসের ৩৭ ওভারের প্রথম বলে মাসাকাদজাকে এলবিডাব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৪৮ রান করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।

এরপরই শুরু হয়ে তাইজুলের ঘূর্ণির জাদু। পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ভোগানো উইলিয়ামস (২০) ও পিটার মুরকে (০)। এরপর সিকান্দার রাজাকেও লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি।

এরপর রেগিস চাকাভা ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। দুইজন মিলে ৩৫ রানের জুটিও গড়ে তোলেন। মাসাকাদজাকে (১৭) আউট করে সেই জুটি ভাঙেন মিরাজ। এরপরই ছোবল হানেন অপু। মাহমুদউল্লার ক্যাচ বানিয়ে চাকাভাকে ফেরান তিনি। এরপর ব্র্যানডন মাতুভাও (৬) অপুর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। সর্বশেষ টেন্ডাই চাতারাকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে দেন তাইজুল।

নিজেদের প্রথম ইনিংসের ১৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ফলে রানের পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে তিন স্পিনারের ঘূর্ণিতে এদিন দুই শ রানের নিচেই আউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

বাংলাদেশের বোলাররা নিজেদের কাজ ভালোভাবেই করতে পেরেছেন। এবার পালা ব্যাটসম্যানদের। চতুর্থ ইনিংসে ৩২১ রানের লক্ষ্য কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। যখন হাতে আছে দুই দিনেরও বেশি সময়। এখন দেখার বিষয় প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে কতটা সফল হতে পারেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।