সেই কন্যাকে নিয়েই কারাবাসের শখ ধর্ষক রামের

কথায় আছে- কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। দুই শিষ্যকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছর কারাভোগ করতে হবে ভণ্ড ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে। নিজের দত্তক নেয়া কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গেও ছিল অবৈধ যৌন সম্পর্ক। আর সেই কন্যাকে নিয়েই নাকি কারাবাসের আবদার করেছেন এই ধর্ষক গুরু।

জিনিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, রাম রহিম সিং দোষী সব্যস্ত হওয়ার পর তার হেলিকপ্টারে ছিলেন হানিপ্রীত।
এদিকে নতুন গুঞ্জন উঠেছে। ধর্ষক রাম রহিম নাকি জেলের মধ্যে থাকার সময় সঙ্গী হিসেবেও চাইছেন হানিপ্রীতকে। কিন্তু, বন্দির সঙ্গে কাউকে সঙ্গী হিসেবে দেওয়া যাবে না বলে জেলের কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন।

এতে নাকি বেজায় চটেছেন ‘রকস্টার বাবা’ রাম রহিম। তার সেই আবদার বাতিল হওয়ার পরই নাকি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে হানিপ্রীতকে দত্তক নেন রাম রহিম। অভিযোগ উঠে- ওই পালিত কন্যার সঙ্গে নাকি যৌন সম্পর্ক ছিল ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরু রাম রহিমের।
রাম রহিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে এই গুরুতর অভি‌যোগ করেছিলেন জামাতা বিশ্বাস গুপ্তা। তার অভি‌যোগ ছিল, পালক কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রয়েছে ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধানের। নিজের পাপ ঢাকতে তাকে দত্তক নিয়েছিলেন রাম রহিম।
বিশ্বাস গুপ্তার দাবি, ২০১১ সালে একবার তিনি আশ্রমে বাবার অন্দরমহলে গিয়েছিলেন। দরজা খোলা ছিল। উঁকি মেরে দেখতেই স্তম্ভিত হয়েছিলেন। আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন রাম রহিম, ও হানিপ্রীত।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালে ফতেহাবাদে হানিপ্রীতের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। রাম রহিম ‌যদি হানিপ্রীতকে দত্তক নিয়ে থাকেন, তাহলে উনি আমাকে সঙ্গে থাকতে দেন না কেন?’
বিশ্বাস গুপ্তা ২০১১ সালে রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। তবে পরে আদালতের বাইরে আলোচনার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করে নেন।
রাম রহিমের সবকটি ছবিতেই দেখা গেছে হানিপ্রীতকে। ফেসবুক প্রোফাইলে হানিপ্রীত নিজেকে সমাজকর্মী, পরিচালক ও অভিনেত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তাকে রাম রহিমের সাম্রাজ্যের অন্যতম উত্তরাধিকার ভাবা হচ্ছে।