সৌদিতে গৃহকর্মীদের পণ্য হিসাবে দেখা হচ্ছে?

বাংলাদেশসহ বিশ্বের দরিদ্র দেশ থেকে প্রতিদিন শত শত নারী গৃহকর্মী কাজ নিয়ে সৌদি আরবে যাচ্ছেন। এদের একটা বড় অংশই রিয়াদের কিং খালেদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামেন। সেখান থেকেই নির্ধারিত গৃহকর্তার বাড়িতে যান তারা। খবর বিবিসির।

বিমানবন্দর থেকে গৃহকর্মীদের যারা বিভিন্ন স্থানে কাজের জন্য নিয়োগ দেন তেমনই একটি কোম্পানি সম্প্রতি একটি সেবা চালু করেছে। বিমান থেকে গৃহকর্মীদের যার যার মনিবের বাড়িতে পৌঁছে দেবে তারা। এসব গৃহকর্মীদের নিতে মনিবদের আর বিমানবন্দরে আসতে হবেনা।

কোম্পানি তাদের টুইটারে ছবি পোস্ট করেছে যেখানে দেখা গেছে বিমানের দরজা থেকে নেমে একজন নারী গৃহকর্মী সোজা গৃহকর্তার বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন। ঐ বিজ্ঞাপনে তারা লিখেছেন, ‘আমরা আপনার গৃহকর্মীকে বিমান থেকে নিয়ে সোজা আপনার বাড়ি পৌঁছে দেব।’

নতুন এই সেবার নাম দেয়া হয়েছে দিয়েছে তাওয়াসালাক। শব্দটির অর্থ- সে (গৃহকর্মী) আপনার কাছে চলে আসবে। তবে এ ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা গৃহকর্তাদের অবশ্যই বড় অঙ্কের ফি গুনতে হবে।

টুইটারে অনেক সৌদি নাগরিক এই সেবার সমালোচনা করেছেন। অনেকেই লিখছেন, গৃহকর্মীদের পণ্য হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে।

একজন লিখেছেন, তাদেরকে কি কার্গো হিসাবে দেখা হচ্ছে? আরেকজন লিখেছেন, গৃহকর্মীরা যাতে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্যই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সৌদি আরব প্রতি বছর বিদেশ থেকে হাজার হাজার নারী গৃহকর্মী নিয়োগ করে। এদের অধিকাংই আসে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে।

সৌদি আরবে গৃহকর্মীদের অধিকার, থাকার পরিবেশ নিয়ে এর আগেও সমালোচনা হয়েছে। নিয়োগদাতাদের অনুমোদন ছাড়া তারা চাকরি বদলাতে বা কাজ ছেড়ে নিজের দেশেও ফিরতে পারে না। অনেক সময় এসব গৃহকর্মীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।