সৌদি বাদশার প্রস্তাবে নওয়াজের ‘না’

সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কাছে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তান সৌদির সঙ্গে রয়েছে, নাকি কাতারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জবাবে নওয়াজ শরিফ বলেন, চলমান কাতার সংকটে তারা কোনো পক্ষ নেবেন না। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব ও কয়েকটি আরব দেশের কূটনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে নওয়াজ শরিফ সোমবার সৌদি সফরে গিয়ে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ সফরে নওয়াজের সঙ্গে ছিলেন পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ।

বৈঠকে বাদশাহ প্রধানমন্ত্রীকে কাতার ইস্যুতে সুস্পষ্ট অবস্থান নেয়ার কথা বলেন। এ সময় কাতারকে আরো একঘরে করে ফেলার জন্য সৌদি আরবের পক্ষে অবস্থান নিতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কিন্তু বাদশাহর এ প্রস্তাবে রাজি হননি নওয়াজ। বৈঠকের পর সৌদি রাজপ্রাসাদে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার যে কোনো উদ্যোগকে সমর্থন করবে ইসলামাবাদ। তবে পাকিস্তান এমন কোনো পক্ষ নেবে না যাতে মুসলিমবিশ্বে বিভক্তি বেড়ে যায়।

সৌদি আরবকে আশ্বস্ত করার জন্য পাকিস্তান আরো বলেছে, চলমান সংকট নিরসনে কাতারের ওপর পাকিস্তানের প্রভাব কাজে লাগাতে পারে ইসলামাবাদ এবং এজন্য পাক প্রধানমন্ত্রী কাতার, কুয়েত ও তুরস্ক সফর করবেন।

পাকিস্তানের আরেক কর্মকর্তা জানান, চলমান সংকটের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সরাসরি মধ্যস্থতা করতে পারছে না বরং কুয়েতের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন দিয়ে তাকে বেগবান করার চেষ্টা করবে।

তিনি বলেন, যদি কুয়েতের উদ্যোগ সফল না হয়, তখন পাকিস্তান ও তুরস্কসহ অন্য কয়েকটি দেশ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কাজ করবে।
এ কর্মকর্তা আরো বলেন, পাকিস্তান কাতারে সেনা পাঠাচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ পাক প্রধানমন্ত্রী সৌদি সফর করেন। মিথ্যা ওই খবরের কারণে সৌদি আরবের ভেতরে এমন একটি ধারণা তৈরি হচ্ছিল, ইসলামাবাদ কাতারের পক্ষ নিচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সৌদি সফরের সময় নওয়াজ শরিফ রিয়াদকে নিশ্চিত করেছেন যে, সৌদি আরবের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পাক সরকার ও জনগণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বৈঠকে বাদশাহ সালমান সৌদি সফরের জন্য নওয়াজ শরিফকে ধন্যবাদ জানান এবং পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাসহ সব ধরনের স্বার্থের প্রতি রিয়াদের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন।