সৌদি, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে যুদ্ধ করেছে আইএস!

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ব্যবহৃত অস্ত্রের অধিকাংশই সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে যুদ্ধাস্ত্রবিষয়ক গবেষণা সংস্থা কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ (সিএআর)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রকাশিত ২০০ পাতার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিএআরের বরাত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আইএসের হাতে যাওয়া অধিকাংশ অস্ত্র মূলত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দিয়েছিল সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র। পরে সেগুলো হাতবদল হয়ে গিয়ে পড়ে জঙ্গি সংগঠনের কাছে। এর পরিমাণ আইএসের দখলে থাকা মোট অস্ত্রের এক-তৃতীয়াংশ।

সিএআর জানায়, আইএস বেশিরভাগ অস্ত্র ইরাক ও সিরিয়ার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে লুটপাট করে। সৌদি ও যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রগুলো তারা যুদ্ধক্ষেত্র অথবা সরাসরি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের কাছ থেকে পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেনা অস্ত্র শেষ পর্যন্ত আইএসের হাতে পড়েছে এমন ১২টি ঘটনার প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিএআর।

এমন একটি ঘটনার উল্লেখও করা হয়েছে ২০০ পাতার প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, ইউরোপের একটি দেশের কাছ থেকে কেনা ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আসাদবিরোধীদের হাতে তুলে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মাত্র দুই মাসের যুদ্ধেই ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিজেদের দখলে নেয় আইএস যোদ্ধারা।

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া অস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিভিন্ন দেশ থেকে কিনেছিল। নিজেদের ব্যবহারের জন্য কিনে তা বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দেওয়ায় চুক্তি লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি করে সিএআর।

এ ছাড়া আইএসের কাছে সৌদি আরবের আমদানি করা অনেক অস্ত্র পাওয়া গেছে। সেগুলো দেশটি অহস্তান্তরযোগ্য চুক্তিতে বুলগেরিয়া থেকে কিনেছিল। পরে অস্ত্রগুলো সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দেওয়া হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সিএআর জানায়, আইএস ব্যবহৃত অস্ত্রের ৯০ শতাংশ চীন, রাশিয়া ও ইইউর দেশগুলোতে তৈরি। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ চীন ও রাশিয়ায় নির্মিত, যা ইরাকি ও সিরিয়ার সেনাদের কাছ থেকে লুটপাট করে জঙ্গি সংস্থাটি।