হাজিদের মৃত্যুর কারণ ‘গুরুতর অসুস্থতার তথ্য গোপন’

পবিত্র হজ পালন করতে যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীদের প্রায় সিংহভাগই গুরুতর অসুস্থতা সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেছেন।

ফিটনেস সার্টিফিকেটে রোগী প্রায় নিরোগ বলে উল্লেখ থাকলেও মক্কায় হজ মেডিকেল সেন্টারে কিডনি, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত বলে চিকিৎসা চাইছেন। তবে মেডিকেল সেন্টারে জটিল রোগের চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় এ ধরনের রোগীদের সৌদির বড় বড় হাসপাতালে রেফার করছেন চিকিৎসকরা। সেখানকার চিকিৎসকরা রোগীর মেডিকেল ফিটনেস দেখে হতবাক হচ্ছেন!

প্রথমদিকে কিছু জটিল রোগীকে ভর্তি ও অস্ত্রোপচার করলেও বর্তমানে সৌদির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, এমন জটিল রোগীদের কীভাবে নরমাল সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। তারা বাংলাদেশ থেকে হজ করতে নাকি চিকিৎসা করাতে এসেছেন?

চলতি বছর হজের আগে ও পরে মোট ৯২ হজযাত্রী মারা যান। এর মধ্যে মক্কায় ৫৫, মদিনায় ৭, জেদ্দায় ২, মিনা ১৮ এবং আরাফায় ১০ জন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হজ মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মৃতদের অধিকাংশই বয়োবৃদ্ধ ও বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। রোগ-সংক্রান্ত তথ্য গোপন করাই তাদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

জানা গেছে, তথ্য গোপন করে জটিল হৃদরোগীকেও মক্কায় আনা হয়। তার বুকে স্ট্যান্ট লাগানো হয়। আরেকজন ক্যান্সারের রোগীও এখানে এসে তিনি তার রক্ত বদল করতে চান।

হজ মেডিকেল টিম-১ এর সদ্য বিদায়ী টিম লিডার ডা. মো. জাকির হোসেইন বলেন, জটিল রোগীদের রেফার করে তাদের রীতিমতো জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। দেশের চিকিৎসকদের সনদে সব কিছু নরমাল লেখা কেন হয়েছে তা জানতে চেয়েছে।