হেজবোল্লাহ-র তিনটি ড্রোন ভূমধ্যসাগরে ভূপাতিত করেছে ইসরাইল

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী শনিবার (২ জুলাই) জানায় যে, লেবাননের হেজবোল্লাহ জঙ্গী গোষ্ঠীর পাঠানো তিনটি মানববিহীন বিমান তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঐ ড্রোনগুলো ভূমধ্যসাগরে সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইল স্থাপিত একটি গ্যাস প্ল্যাটফর্মের এলাকার দিকে যাচ্ছিল বলেও জানানো হয়।

ঐ দুই দেশের মধ্যকার সাগরের জলসীমা নিয়ে, ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনাকে প্রভাবিত করার জন্য হেজবোল্লাহ ঐ বিমানগুলো পাঠায় বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে। সাগরের ঐ অঞ্চলটি প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ একটি এলাকা।

এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায় যে, বিমানগুলোকে বেশ আগেই সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল এবং সেগুলো “আসন্ন কোন হুমকি” হয়ে উঠেনি। তবু ঘটনাটির বিষয়ে ইসরাইলের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন।

শুক্রবার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম ভাষণে লাপিদ বলেন, “আমি আপনাদের সামনে এই মুহুর্তে দাঁড়িয়ে, গাজা থেকে তেহরান পর্যন্ত, লেবাননের উপকূল থেকে সিরিয়া পর্যন্ত, আমাদের মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা সবাইকে বলছি: আমাদের পরীক্ষা করবেন না।” তিনি আরও বলেন, “ইসরাইল জানে যে কিভাবে সকল হুমকি, সকল শত্রুর বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি ব্যবহার করতে হয়।”

এই মাসের শুরুর দিকে কারিশ গ্যাসক্ষেত্রে ইসরাইল একটি গ্যাস উত্তোলন প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করে। ইসরাইলের দাবি যে, ঐ ক্ষেত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসরাইলের অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যেই অবস্থিত। তবে, লেবাননের দাবি যে সেটি বিতর্কিত জলসীমার মধ্যে পড়েছে।

এদিকে, হেজবোল্লাহ এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রদান করেছে। কারিশ ক্ষেত্র অভিমুখে এক পরিদর্শন অভিযানের উদ্দেশে তিনটি নিরস্ত্র ড্রোন উৎক্ষেপণের বিষয়টি ঐ বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়।