১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে অনুমতি: ডিএমপি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেছেন, বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে পারবে কি-না অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সমাবেশের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে ফারুক হোসেন বলেন, সমাবেশকে ঘিরে ভাঙচুর হবে কি-না, বিএনপি বিশৃঙ্খলা করবে কি-না এসব বিষয় বিবেচনা করা হবে।

বিএনপি নেতা আব্দুস সালামের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে বহিরাগতরা ঢুকে বা অন্য কোন দলের লোক ঢুকে বিশৃঙ্খলা করবে কি-না- সেটা বিএনপিকেই দেখতে হবে।

এর আগে এদিন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল মিন্টো রোডের ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে হাজির হন।

এরপর দলের পক্ষে ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে চিঠি জমা দেন। এরপরই ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ছাড়াও বৈঠকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সদস্য সচিব আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে আব্দুস সালাম বলেন, নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়াও সমাবেশের বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। যদিও বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত নয়াপল্টনে সমাবেশ করার, তবে পল্টনে অনুমতি না পেলে আবারও ভেন্যু বিবেচনা করা হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশকেই এর দায়ভার নিতে হবে।

এদিকে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। গণসমাবেশ করার অনুমতি ও সমাবেশ চলাকালীন প্রশাসনের সহায়তা চাইতেই বৈঠক হয়েছে।

তিনি বলেন, বৈঠকে ডিএমপি কমিশনার সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।