১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, প্রতিবাদে মঞ্জুর প্রচার স্থগিত

বিভিন্ন মামলার আসামি ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে খুলনায় নির্বাচনী প্রচার স্থগিত করেছেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এই গ্রেপ্তারকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও হয়রানি হিসেবেও দেখছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার কিছু আগে মহানগরীর মিয়া পাড়া রোডে নিজের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মঞ্জু।

মঞ্জুর অভিযোগ গত রাতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মোস্তফা উল বারী লাভলু, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান মুরাদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারো, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এই অভিযানকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পুলিশের সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মঞ্জু। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার শুরুর প্রথম থেকেই প্রশাসন ও সরকারদলীয় লোকেরা তার প্রচারে বাধা দিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতি না পাল্টালে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, এই অভিযানের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। যাদেরকে ধরা হয়েছে তারা সবাই নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। তারা এলাকায় ফিরে প্রকাশ্যে আসায় তাদেরকে ধরা হয়েছে।

জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সোনালী সেন জানান, গত ২০ এপ্রিল থেকে মাদক, সন্ত্রাস ও পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, এটা পুলিশের বিষয়। এখানে তার কিছু বলার নেই।

আগামী ১৫ মের ভোটকে সামনে রেখে গত ২৪ এপ্রিল থেকে খুলনা ও গাজীপুরে ভোটের প্রচার চলছে। খুলনায় মঞ্জুর সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগের খালেকের। আর গাজীপুরে লড়াই হবে বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলমের।

গাজীপুরেও ভোটের প্রচার শুরু হওয়ার তিন দিন পর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির এস এম সানাউল্লাহসহ ৪৫ নেতা-কর্মীকে ‘নাশকতার পরিকল্পনার’ সময় আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এই গ্রেপ্তারকেও নির্বাচনী প্রচারে পুলিশ তথা সরকারের হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে বিএনপি।