২০২৪ সালে সিদ্ধান্ত নেব নির্বাচন করব কিনা : প্রধানমন্ত্রী

পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, নির্বাচনের নির্ধারিত সময় এলে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এলডিসি থেকে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্য পাঠের পর একজন গণমাধ্যমকর্মী তার কাছে জানতে চান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন কিনা। জবাবে তিনি বলেন, পরবর্তী নির্বাচন তো ২০২৪ সালে। তখন সিদ্ধান্ত নেব কী করব।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করবে। এই অর্জনকে যদি ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবিলা করতে পারি, আমরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রয়োজনীয় সূচকগুলো ধরে রাখতে হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে যা যা করা দরকার, আমি করতে প্রস্তুত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশে এমন মানুষ ছিল, যাদের কোনো আশা-ভরসা নেই, হাত পেতে চলতে হয়। তাদের জন্য আমরা ঠিকানার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মুজিববর্ষে এটিই সবচেয়ে বড় কাজ। ওই ঠিকানাই তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আমরা মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছি। ওই সময় আমার ১৯৭১ সালের কথা মনে হয়েছে, যখন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বহু বাংলাদেশিকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল ভারতে। ওই সময় আমার ছোট বোন রেহানাও বলেছিল, তুমি ১৬ কোটি মানুষের খাওয়ার ব্যবস্থা করো, ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে খাওয়াতে পারবে না? তাই আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের প্রত্যাবাসনে কাজ চলছে।

গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।