৩ লাখ সেনা আর ১০০০ যুদ্ধ বিমান নিয়ে রাশিয়ার ঐতিহাসিক মহড়া

চীন ও মঙ্গোলীয় সেনাদের নিয়ে ১৯৮১ সালের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিনব্যাপী এ মহড়া চলবে। মঙ্গলবার রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এ ঘোষণা দিয়েছেন।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে বড় ধরনের এ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এই মহড়া রাশিয়ার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গনের পর বৃহত্তম সামরিক এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ভসটক-২০১৮। এর অংশ হিসেবে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ও পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক জেলাগুলোতে অনুশীলনে অংশ নেবে প্রায় ৩ লাখ সেনাসদস্য। থাকবে ১০০০ সামরিক বিমান ও দুইটি নৌবহর। চীনা ও মঙ্গোলীয় সামরিক ইউনিট মহড়ায় অংশ নেবে।

চীন ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া এর আগে অনুষ্ঠিত হলেও এমন বৃহৎ কোনো মহড়ায় চীনের অংশ নেওয়া এই প্রথম।

১৯৮১ সালে জাপাদ-৮১ নামে বড় আয়োজনে একটি সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, কিছু ক্ষেত্রে সেই ১৯৮১ সালের মহড়াকে অনুসরণ করা হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও বড় করা হবে।

এর আগে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্ক অঞ্চলের চেবারকুল শহরে ২২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী মেগা মহড়া। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) আয়োজিত এ মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো।