৪০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ঘটনার সংখ্যা

দেশে প্রতিবছর ৬ লাখেরও বেশি মানুষ আগুনে পুড়ে হতাহত হন। যাদের বেশিরভাগই রান্নার গ্যাস থেকে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগুনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারণে কয়েক বছরে শীত মৌসুমে এ দুর্ঘটনার সংখ্যা গত চল্লিশ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। তাই ব্যবহারকারীদের সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ, পাইপ লাইন ও সিলিন্ডার গ্যাসের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে উপকরণগুলোকে নিয়মিত নিরীক্ষার আওতায় আনতে হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসা রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই রান্নার গ্যাসের অনিরাপদ ব্যবহারে পরবর্তী অসতর্কতা ফলে দুর্ঘটনার শিকার। প্রতিষ্ঠানটির জরিপ মতে, আক্রান্তদের মধ্যে বছরে কমপক্ষে ২,০০০ জনের মৃত্যু হয়। প্রাণে বেঁচে গেলেও কর্মক্ষমতা হারান অনেকে।

শীত মৌসুমে তাপমাত্রা কম থাকায় আগুনের ব্যবহারও তুলনামূলক বাড়ে। গত কয়েক বছরে বাসায় পাইপ লাইনের গ্যাস সংকট মোকাবেলা ও বাইরের দোকানপাটে সিলিন্ডারের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিরাপদভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘গ্যাস বার্নে গত ৪০ বছরে এত দুর্ঘটনা দেখিনি।’

গ্যাস সরবরাহকারী ও ব্যবহারকারী উভয়কেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ ফায়ার সার্ভিসের। তবে নিয়মিত পরিদর্শন না করা ও জবাবদিহি না থাকায় দীর্ঘদিনেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে মনে করে সংস্থাটি।

জ্বালানি গ্যাস থেকে প্রতিবছর বাসাবাড়িতে শতকরা ৪২ ভাগ ও কর্মক্ষেত্রে ৩০ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ১৮-৪২ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যাই বেশি।