আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ত্রাণ লুট করছে : রিজভী

ভারত থেকে আসা উজানের পানি ও বৃষ্টিতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ ১৩টি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এসব জেলাগুলোর বন্যাদুর্গত বানভাসী মানুষরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছেন।

তিনি বলেন, সরকারের দু’একজন মন্ত্রী ফটোসেশন করে ঢাকায় ফিরে আসছেন। আর স্থানীয় প্রশাসন যৎসামান্য ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গেলেও তা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে ত্রাণের দেখা পাচ্ছে না বানভাসী বন্যাদুর্গত মানুষ।

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বাড়ীঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে হচ্ছে বন্যাদুর্গতদের। গণমাধ্যমগুলোতে বানভাসী অসহায় মানুষের দু:খ-দুর্দশার চিত্র ফুটে ওঠলেও বন্যাদুর্গতদের পাশে নেই সরকার। মন্ত্রী-এমপি’রা ঢাকায় বসে আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তারা বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন অনুভব করছে না। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে ত্রাণ নিয়ে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকাল ৫৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও পূর্বের মতো আওয়ামী ভোটারবিহীন সরকারের সন্ত্রাসীরা সকাল থেকে ভোট কেন্দ্র দখল করে জালভোট প্রদানের মহৌৎসবে মেতে ওঠে। জালভোট দিতে গিয়ে বরিশালে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আটক হয়েছে আওয়ামী লীগের এক নেতা। বরিশালে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হামলায় সাধারণ ভোটার’রা ভোট প্রদান দূরে থাক, ভোটকেন্দ্রে আসতেও পারেনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি’র এজেন্টদেরকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকাল থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে জালভোট প্রদানে মেতে ওঠে আওয়ামী নেতাকর্মীরা। এসময় নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জালভোট প্রদানে আওয়ামী নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করেন।