২০ বছর দাঁত মাজেননি জে!

কথায় আছে-দাঁত থাকতে লোকে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। এ আর নতুন কথা কী! কিন্তু প্রাচীন এই বাংলা প্রবাদ মনে পড়ে যাবেই, ব্রিটেনের এক যুবকের কথা শুনলে।

২০ বছর পেরিয়ে একুশ ছুঁয়েছে বয়স। এত বছরে কখনও টুথব্রাশ দাঁতে ছোঁয়াননি জে! গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ রিয়েলিটি শোতে হাজির হয়েছিলেন এই সদ্যযুবা। কিন্তু সম্প্রতি তার খবর হয়েছে ভাইরাল। এমন গা ঘিনঘিনে ব্যাপার স্যাপার শুনে চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে সকলের।

কেন এমন করেছেন জে। টুথব্রাশের সঙ্গে তার কীসের শত্রুতা! এক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, ছোট বেলায় তার বাবা-মা কোনওদিনই উৎসাহ দেননি দাঁত মাজতে! ফলে এই অভ্যাসটি গড়েই ওঠেনি তার। আজ জে প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু তবুও আর নতুন করে অভ্যাস তৈরি হয়নি।

তবে এই মুহূর্তে অবশ্য জে আর আগের জে নেই। বরং হাসলেই তার ঝকঝকে হাসি মুগ্ধ করবে আপনাকে। আসলে দাঁতের চিকিৎসক জেমস রাসেলের সৌজন্যে শাপমুক্তি ঘটেছে তার। এই চিকিৎসকই মুখের হাসি ফিরিয়ে দিয়েছে জে-কে।

২০ বছর দাঁত না মাজার কারণে দাঁতের অবস্থা যে কতটা করুণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তা সহজেই অনুমেয়। সেই কুৎসিতদর্শন দাঁতকে সামলাতে গিয়ে রাসেল সাহেবের যে রীতিমতো কালঘাম ছুটে গিয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

১১টা দাঁত তুলতে হয়েছে জে-এর। তার জায়গায় বসানো হয়েছে নতুন দাঁত। মুখের হাসিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন জে। তবে তার দাঁত তোলার আগে তাঁকে দিয়ে রীতিমতো ‘প্রমিস’ করিয়ে নেন চিকিৎসক রাসেল।

জে কথা দেন, তিনি এবার থেকে রোজ দাঁত মাজবেন। ঠান্ডা পানীয় বা মিষ্টি খাওয়ার ব্যাপারটিও নিয়ন্ত্রণ করবেন।
জে জানিয়েছেন, তিনি এখন এক অত্যন্ত সুখী মানুষ। জীবনের লক্ষ্যপূরণে ঝাঁপিয়ে পড়বেন এবার। পাশাপাশি দাঁতের ব্যাপারেও তিনি এখন মাত্রাতিরিক্ত সচেতন। উৎসাহিত হয়ে কিনে ফেলেছেন ইলেকট্রিক টুথব্রাশ!