রিকশার প্যাডেল চেপে জেসমিনের ২০ বছর

জেসমিন আক্তার। নারী রিকশাচালক। বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদগনর উপজেলার বামুটিয়া গ্রামে। রিকশা চালান ‘বাণিজ্যের রাজধানী’ চট্টগ্রামে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেসমিন আক্তারকে রিকশা চালানো অবস্থায় দেখা মেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার পৌর এলাকার সড়ক বাজারে। শাহ পীর কলস্না শহীদের মাজারের ওরস দেখতে এসে পরিচিতজনের অনুরোধেই তিনি রিকশা চালিয়ে এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দেন।

ওই নারী এ প্রতিবদককে জানালেন, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে রিকশা চালান। রিকশাচালক (পরবর্তীতে প্রবাসী) স্বামীর সঙ্গে রাগ করেই কি-না এ পেশাতে তার আসা। তিনি রিকশা চালান চট্টগ্রামে। নিজের আয়ে কেনা চারটি রিকশার তিনটি তিনি ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।

জেসমিন আক্তার জানান, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাসিন্দা রিকশাচালক মো. হারুনুর রশিদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিন সন্তানকে রেখে স্বামী প্রবাসে চলে যান। যাওয়ার সময় বাবার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার করে স্বামীকে এক লাখ টাকা দেন। কিন্তু প্রবাসে গিয়ে স্বামী জানিয়ে দেয় তিনি আর জেসমিন আক্তারের সঙ্গে সংসার করতে চান না।

জেসমিন আক্তার বলেন, ‘স্বামী বিদেশ গিয়া কয় আমি আর অহন রিকশা ডাইবার না। বিদেশে থাহি। মেলা টেহা কামাই। ঘর করব না কইয়া একটা ক্যাসেটে রেকর্ডিং পাডায়। এর পর থেইক্কা তাইনের সাথে যোগাযোগ নাই।