‘সব কয়টা বোতাম খুলে আমার শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি’

হলিউড প্রযোজক হারভে উইন্সটেন একে একে সব কয়টা বোতাম খুলে ফেললেন। তারপর উঠে এলেন আমার শরীরের ওপর। জোর করে আমার সম্ভ্রম কেড়ে নিলো বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী আনাবেলা সিওরা।

হলিউডের এই অভিনেত্রী আরও জানান, তিনি বাধা দিতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে থামাতে পারেননি। হলিউডের প্রযোজক হারভে উইন্সটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলেন অভিনেত্রী আনাবেলা সিওরা।

‘দ্য সোপ্রানোস’ নামের টেলিভিশন সিরিজে অভিনয়ের জন্য তিনি এমি এওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। এ নিয়ে হারভে উইন্সটেনের ভেতরকার আরো পাশবিক চরিত্রের প্রকাশ পেয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এতে বলা হয়, এরই মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি অভিনেত্রী, বিভিন্ন পেশার নারীর সম্ভ্রমহানীর অভিযোগে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কুখ্যাত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন হলিউডের চলচ্চিত্র জগতের মুঘল হিসেবে পরিচিত হারভে উইন্সটেন। কিভাবে তিনি অভিনেত্রী আনাবেলার সম্ভ্রম ছিনিয়ে নিয়ে ছিলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনকে।

তিনি বলেছেন, ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে হারভে উইন্সটেন জোরপূর্বক তার এপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন এবং তাকে নৃশংস উপায়ে সম্ভ্রমহানী করেন। সম্ভ্রমহানী করার পূর্ব মুহূর্তে তিনি তার এপার্টমেন্টে এমনভাবে যান, যেন তিনি ওই বাসার মালিক। বাসার ভিতর প্রবেশ করেই নিজের শার্টের বোতাম খোলা শুরু করেন।

অভিনেত্রী আনাবেলা বলেন, এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল তিনি কি করতে যাচ্ছেন। আমি তাকে অনুরোধ করলাম আমাকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু তিনি আমাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে নিয়ে গেলেন বিছানায়। ফেলে দিলেন বিছানার ওপর। তারপর জোর করে উঠে গেছেন আমার শরীরের ওপর।

তিনি বলেন, আমি তাকে বাধা দিয়েছি। কিন্তু তাকে থামাতে পারি নি। তিনি শক্তি প্রয়োগ করে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়লেন। আমি তার কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লড়াই করলাম। কিন্তু তাকে সরিয়ে দেয়ার মতো অতো শক্তি আমার ছিল না।

তিনি বলেন, এতে আমি মারাত্মকভাবে লজ্জিত হয়ে পড়ি। গভীর হতাশা ভর করে আমার মধ্যে। বেশ কয়েক বছর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে ক্ষতি হতে পারে এই আতঙ্কে এই জঘন্য অধ্যায়কে গোপন করে রেখেছিলাম। তারপর আবার আমি অভিনয় শুরু করি। ফলে বছরের পর বছর অব্যাহতভাবে আমাকে (প্রচার অযোগ্য শব্দ) করে যেতে থাকেন হারভে উইন্সটেন।

আনাবেলার এই অভিযোগ নিয়ে উইন্সটেনের বিরুদ্ধে এমন ঘৃণ্য অভিযোগকারী নারীর সংখ্যা অর্ধ শতক ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন সুপরিচিত নায়িকা গাইনেথ পালট্রো, অ্যানজেলিনা জোলি, মিরা সোরভিনো, ডেরিল হান্নাহ, অ্যাশলে জুড প্রমুখ।