গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান ছিল ৭ মার্চের ভাষণে
রাজাকার,আল বদর, ইতিহাস বিকৃতকারী, দুর্নীতিবাজ ও খুনিরা আর যাতে কোনোদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারে জাতির কাছে সে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যারা রক্ত দিয়ে গেছেন, তাদের মহান অর্জন স্বীকৃতি পেয়েছে ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় শনিবার (২৫ নভেম্বর) দেশজুড়ে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে সরকার। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।।
এসময় ৭ মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এ ভাষণ শুধু ভাষণ নয়,এ ভাষণে শোষণ-বঞ্চনা-নির্যাতনের কথা ছিল, ছিল দিক নির্দেশনা। এই ভাষণে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ছিল, রাজনৈতিক নির্দেশনা ছিল। জাতির পিতা গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান এ ভাষণে।’
৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। ইতিহাস চির ভাস্বর। ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে আজ সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। যারা এ ভাষণ চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল আজ তাদের অবস্থা কী,তারা কোথায় মুখ লুকাবে?’
ভাষণের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ভাষণ সম্পূর্ণ জাতির পিতা মন থেকে বলেছিলেন, এ ভাষণে বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। আমি আনন্দিত ৪৬ বছর আগে জাতির পিতা যে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেটাকে ইউনেস্কো আজ স্বীকৃতি দিয়েছে। এ ভাষণে থাকা দূরদর্শিতা ও দিক নির্দেশনা পৃথিবীর কোনও ভাষণে পাওয়া যায় না।’
উল্লেখ্য, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন