তারেককে দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া চলছে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটিকে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরকান সড়কে নামকরণ ও গেট উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সম্প্রতি লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারেক জিয়া লন্ডনে অবস্থান করে নানাভাবে এ ঘটনা সংঘটিত করেছেন। দূতাবাসে হামলার বিষয়টি ইন্টারপোল সদর দফতরে জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে এবং দণ্ডিত ব্যক্তিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া চলছে।’

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে গত বুধবার যুক্তরাজ্য বিএনপির বিক্ষোভ থেকে লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ভাংচুর চালানো হয়। এসময় ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু মানুষ ভিতরে ঢুকে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি খুলে নিয়ে ভাংচুর করে।

কারাগারে খালেদা জিয়ার ডিভিশনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হবে অবশ্যই। তবে এ ডিভিশন পাবেন জেল কোড অনুসারে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দলটিকে ভাঙতে তাদের নিজেদের নেতাকর্মীরাই যথেষ্ট। দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করতে রাতারাতি গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করেছে।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিকসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর মন্ত্রী উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।