হাসপাতালের লিফট ব্যবহার করায় ২০ বার কান ধরিয়ে ওঠ-বস!
হাসপাতালে ভর্তি থাকা মেয়ের ওষুধ কিনতে যাওয়ার জন্য সিঁড়ির বদলে লিফট ব্যবহার করেন এক নারী। এই অপরাধে ওই নারী ও তার সঙ্গে থাকা অপর নারীকে কান ধরিয়ে ২০ বার ওঠ-বস করালেন লিফটম্যান! শুধু তাই নয়, মাঝপথে বেশ কিছুক্ষণ লিফটের সুইচ বন্ধ করে দিয়ে তাদের আটকেও রাখেন তিনি।
শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের এ ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শেখ আব্বাস নামে ওই লিফটম্যান পলাতক রয়েছেন।
পুলিস ও হাসপাতাল সূত্র বলছে, বাউড়িয়ার বাসিন্দা ৩ বছরের মেয়ে শিশু আরিফা খাতুন ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি আছে। শুক্রবার রাতে চিকিৎসক কিছু ওষুধ কিনে আনতে বলেন শিশুটির মা সাইনা বেগমকে। দ্রুত ওষুধ কিনে আনতে বলায় সাইনা ও তার সঙ্গে যান সাবাইনা বেগম নামের এক নারী।
তারা দু’জন তাড়াতাড়ি নামার জন্য সিঁড়ির বদলে লিফট ব্যবহার করেন। তাদের লিফটে উঠতে দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন হাসপাতালের লিফটম্যান আব্বাস। তিনি মাঝপথে লিফটের সুইচ বন্ধ করে দেন। ফলে মাঝরাস্তায় লিফটের ভেতরেই আটকা পড়েন দুই নারী। অনেকক্ষণ আটকে থাকায় দুই নারীই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন।
লিফটের ভেতর থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে শুরু করে দিলে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধে ফের লিফট চালু করিয়ে তাদের নিচে নামিয়ে আনেন আব্বাস। এরপর সিঁড়ির বদলে লিফটে ওঠায় ওই দুই নারীকে প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ২০ বার ওঠ-বস করান।
ভারতীয় একটি দৈনিক বলছে, এই ঘটনা নিয়ে অন্যান্য রোগীর বাড়ির স্বজনরা তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেন। তারা বলেন, ‘তাড়াতাড়ি ওষুধ আনার প্রয়োজনে সিঁড়ির বদলে লিফটে উঠে কী এমন অন্যায় করেছে ওই দুই নারী? সেজন্য হাসপাতালের লিফটম্যান কেন তাদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ করবেন?’
খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে দ্রুত উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ আসে; তবে তার আগেই পালিয়ে যান লিফটম্যান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন