সাকিবের আঙুল আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না!

বোলিং করেন যে হাত দিয়ে, সেই হাতের তর্জনি আর কখনও শতভাগ ভালো হবে না সাকিব আল হাসানের। দেশে সার্জারি করে পুঁজ বের করার পরের সার্জারি করতে দেশ ছাড়ার আগে এই দুঃসংবাদ জানিয়ে যান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব আঙ্গুলে চোট পেয়েছিলেন গত জানুয়ারিতে। কিন্তু চিকিৎসা শেষ না করেই আফগানিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন, সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপেও অংশ নেন। তবে টুর্নামেন্ট আর শেষ করতে পারেননি। দেশে ফিরতে হয় জরুরি ভিত্তিতে।

সে সময় জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা করাবেন অস্ট্রেলিয়ায়। তার আগে দেশেও দেখান ডাক্তার। কিন্তু আঙ্গুলের অবস্থা দেখে আঁৎতে উঠেন চিকিৎসক। তাৎক্ষণিক সার্জারি করে একবার ৬০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম ও পরেরবার আরও এক সিরিঞ্জ পুঁজ বের করা হয়।

পরের চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন সাকিব। তার আগে জানিয়ে যান ‘সব্বনাশের’ কথা। বলেন, বোলিংয়ের হাতের আঙ্গুলটি আর কখনও পুরোপুরি ঠিক হবে না।

অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত হ্যান্ড সার্জন গ্রেগ কে দেখাবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম আশা ভরসার স্থল। তারপরই ঠিক হবে পরবর্তী অপারেশনের সময়।

তবে এই অপারেশন করাটাও এখন সহজ হবে না। কারণটা জানালেন সাকিব নিজেই। বলেন, ‘ইনফেকশনটা (সংক্রমণ) আমার সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ। ওইটা যতক্ষণ পর্যন্ত জিরো পার্সেন্টে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো সার্জন অপারেশন করা যাবে না। ওইটাতে হাত দিলে বোনে চলে যাবে, আর বোনে চলে গেলে পুরো হাত নষ্ট। তবে, এখন আসল ব্যাপারটা হচ্ছে কীভাবে ইনফেকশনটা কমানো যায়।’

অপারেশনের পর ক্রিকেট শক্তির সেই আঙ্গুলটি আর পুরোপুরি ঠিক হবে না বলে সাকিব জানান,‘এই আঙুলটা আর কখনো শতভাগ ঠিক হবে না। যেহেতু নরম হাড্ডি, আর কখনো জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। পুরোপুরি ঠিক হবে না। সার্জারি করে ওরা এমন একটা অবস্থায় এনে দেবে হাতটা, আমি ব্যাট ভালোভাবে ধরতে পারব, ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যেতে পারব।’

চলতি বছর আর মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই সাকিবের। মিস করবেন ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা হতে পারে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে। তবে ইনফেকশনের মাত্রা টা নিয়ন্ত্রণে আসলে যদি দ্রুত অপারেশন হয় তাহলে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিপিএলেই মাঠে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব।