চার দিনের সফরে সৌদি গেলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ এবং দুটি পবিত্র মসজিদের খাদেম সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে চার দিনের সফরে রিয়াদের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সৌদি রাজধানী রিয়াদের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিমানটি সন্ধ্যা সাতটায় (স্থানীয় সময়) রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এস এম শাহজাহান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী বুধবার তাঁর স্যুটে কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বার (সিএসসি) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনা সৌদি রাজপ্রাসাদে বাদশাহর সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাৎ শেষে বাদশাহের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পরে তিনি সৌদি রাজধানী রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বুধবার সন্ধ্যায় বিমানযোগে পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশে রিয়াদ ত্যাগ করবেন এবং মসজিদে নববিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর রওজা জিয়ারত করবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা পৌঁছাবেন এবং সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। শেখ হাসিনা এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
দুটি সমঝোতা স্মারক সই হবে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে ২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এগুলো হলো: প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং আইসিটি খাতে সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি বাদশাহর মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিষয়গুলো ছাড়াও শ্রমিককল্যাণ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য ও সমৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়েও আলোচনা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন