ক্ষোভে-দু:খে বিএনপি নেতারা মনোনয়ন জমা দেয়নি : কাদের
নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণেই বিএনপি নেতারা মনোনয়ন জমা দেয়নি-মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাদের (বিএনপি) কাঙ্ক্ষিত জায়গায়, নির্বাচনী এলাকা থেকে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি বলে তারা ক্ষোভে ও দুঃখে মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেননি বিএনপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
এদের মধ্যে রয়েছেন-দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও হাবিব-উন নবী খান সোহেল।
বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন জমা না দেয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি যত দূর জানি, তাদের মধ্যে দুজন আছেন-তাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় থেকে মনোনয়ন পায়নি বলে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি।
আর মির্জা আব্বাস সময়মতো মনোনয়ন জমা দেয়নি। নির্বাচন কমিশন তাই মনোনয়ন জমা নেয়নি। বিএনপি মনগড়া অভিযোগ করলে তো হবে না।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের হয়রানি করা হচ্ছে-বিএনপি এমন অভিযোগকে মনগড়া মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বলুন-কোথায় কোথায় আপনাদের প্রার্থীকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তা হলে নির্বাচন কমিশন তার ব্যবস্থা নেবে। অন্ধকারে ঢিল ছোড়া তাদের পুরনো অভ্যাস।’
বিএনপি নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব-এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভেতরে জগাখিচুড়ি অবস্থা।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই জটিল, যা মির্জা ফখরুল ও তার দলের কন্ট্রোলের (নিয়ন্ত্রণ) বাইরে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নয়। তারা জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে?
জামায়াত ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে, আওয়ামী লীগ বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি অভিনব কিছু নয়। জামায়াতকে আলাদা করে লাভ নেই। তারা একই বৃন্তে দুই ফুল।
জামায়াত ছাড়া বিএনপি অচল, মন্তব্য করে কাদের বলেন, জামায়াত-শিবির ছাড়া বিএনপি চলতে পারে না। তারা একসঙ্গেই কাজ করছে, রাজনীতি করেছে এবং সাম্প্রদায়িকতা করেছে।
২০১৪ সালে নির্বাচন কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হয়েছে, তাতে জামায়াত বিএনপির সহযোগী ছিল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সঙ্গে মিলে জামায়াত আন্দোলন করেছে। গাড়ি পুড়িয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ মেরেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহম্মদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন