উপজেলা নির্বাচন :
দ্বিতীয় ধাপের ভোট শেষ, চলছে গণনা
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৭ জেলার ১১৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনা।
দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের কম উপস্থিতির খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি ভালো এমন খবরও এসেছে। আগেই ভোট দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া তথ্য মতে, দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় ৩৮৬ জন চেয়ারম্যান, ৫৫৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৪০৭ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এই নির্বাচনে ভোটার ছিল ১ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার ৬ জন। ভোট কেন্দ্র ছিল ৭ হাজার ৩৯টি।
ইসির তথ্য মতে, সারাদেশে ৫ ধাপে ৪৮০ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৭টি জেলার ১২৯টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে আদালতের আদেশে ১টি উপজেলা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে হওয়ার কথা থাকলেও তা তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার নির্বাচনও দ্বিতীয় ধাপে না হয়ে চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। আর ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছয়টি উপজেলা পরিষদে তিন পদেই প্রার্থী নির্বাচিত হন। তাই এই ছয়টিতেও ভোটগ্রহণ হয়নি। সব বাদ দিয়ে আজ ১১৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়।
ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান তিন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ছয় উপজেলা হলো চট্টগ্রামের রাউজান, মিরসরাই, নোয়াখালীর হাতিয়া, ফরিদপুর সদর, পাবনা সদর এবং নওগাঁ সদর।
দ্বিতীয় দফায় যেসব উপজেলায় ভোট হয়েছে সেগুলো হলো রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার সদর, পীরগঞ্জ, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল উপজেলা; রংপুর জেলার গংগাচড়া, তারাগঞ্জ, পীরগাছা, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগঞ্জ উপজেলা; গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও পলাশবাড়ী উপজেলা; দিনাজপুর জেলার কাহারোল, বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, বীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বিরল, পার্বতীপুর, খানসামা ও ঘোড়াঘাট উপজেলা।
রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলার সদর, নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, ধুনট, শাজাহানপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, কাহালু, গাবতলী ও সোনাতলা উপজেলা; নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর, আত্রাই, নিয়ামতপুর, সাপাহার, পোরশা, ধামইরহাট, বদলগাছী, রাণীনগর, মহাদেবপুর, পত্মীতলা ও মান্দা উপজেলা; পাবনা জেলার পাবনা সদর, আটঘরিয়া, বেড়া, ভাংগুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলা।
সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা; মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা।
ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর জেলার সদর, বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, সদরপুর, সালথা, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী, নগরকান্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা।
চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা; রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, জুরাছড়ি, বাঘাইছড়ি, কাউখালী, বরকল, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি উপজেলা; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, থানচি, লাম, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা; খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, পানছড়ি, মাটিয়াঙ্গা ও রামগড় উপজেলা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন