রাঙ্গামাটিতে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে প্রিজাইডিং অফিসারসহ নিহত ৭

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ৭ জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাজেক ইউনিয়নের কংলাক, মাচালং ও বাঘাইহাট কেন্দ্র থেকে নির্বাচন শেষে ফেরার পথে উপজেলার নয়কিলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন— পোলিং এজেন্ট শিক্ষক মো. আমির হোসেন (৪০), দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তৈয়ব, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির মো. আল আমিন (১৭), বিলকিস (৪০), মিহির কান্তি দত্ত (৪০), জাহানারা বেগম (৩১) ও পথচারী মিন্টু চাকমা (২৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, ব্রাশফায়ারে চার পুলিশসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৪ জনকে বিজিবির হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি দু’জনকে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোটগ্রহণ শেষে হতাহতরা চান্দের গাড়িতে করে উপজেলা সদরে ফিরছিলেন। পথে দীঘিনালা-বাঘাইছড়ি সড়কের নয়কিলো এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে ব্রাশফায়ার করে। পাশের পাহাড় থেকেও তাদের গাড়িতে গুলি করা হয়।

পরে নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ৬ জনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ছুফিউল্লাহ বলেন, ‘রাত ৮টা পর্যন্ত আমরা ৬ জন নিহতের খবর পেয়েছি। আহতের অবস্থা গুরুতর। নিহত বাড়তে পারে।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদিম সারোয়ার জানান, আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বড়ঋষি চাকমা সোমবার সকালে ভোট শুরুর এক ঘণ্টা পর কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন। এখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেএসএস (এমএন লারমা) প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা।