রমজানে যানজট কমাতে ডিএমপি’র উদ্যোগ
শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। এই রমজানে কর্মজীবী মানুষদের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ভয়াবহ যানজট।
তাই এ মাসে যানজট সহনীয় রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
রমজানে যানজট নিয়ন্ত্রণে মাঠ পুলিশের পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও সড়কে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি সদর দফতরে মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিশেষ সমন্বয় সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রোজায় যানজট সহনীয় রাখতে আমাদের যা করণীয় তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন ইফতারের আগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
রাজধানীতে অনেক জায়গায় সড়ক মেরামত ও নতুন ফুটওভার ব্রিজ তৈরি কাজ চলছে। বিশেষ করে মাস র্যাপিড ট্রানজিট(এমআরটি) কাজের কারণে অনেক রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে।
যানজটে ভোগান্তি কমাতে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম ডিভিশনের কর্মকর্তাদেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সঙ্গে থাকবেন আনসার সদস্যরাও।
রোজায় যানজট কমাতে নেয়া উদ্যোগগুলো-
১. ইফতারের আগে বাড়ি ফিরতে হবে এমন মনোভাব নিয়ে উল্টো পথে গাড়ি চালানো হতে বিরত থাকুন।
২. ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালান, সিগন্যাল অমান্য করে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে সৃষ্টি হবে অসহনীয় যানজট।
৩. কোন অবস্থায় আপনি যানজটের কারণ হবেন না এটা মনে রেখে গাড়ি চালাবেন।
৪. রমজানে সারাদিন রোজা রেখে সকলেই ক্লান্ত থাকে, সেক্ষেত্রে অযথা গাড়ির হর্ণ বাজাবেন না। হাইড্রলিক হর্ণ ও অননুমোদিত হর্ণ ব্যবহার পরিহার করুন। এটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
৫. তাড়াহুড়া করে গাড়ি না চালিয়ে নিয়ম মেনে নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালান।
৬. রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে রাস্তা সংকীর্ণ করে গাড়ি চলাচলের স্বাভাবিক গতি রোধ করে যানজট সৃষ্টি থেকে বিরত থাকুন।
৭. মার্কেট ও শপিংমলের সামনে গাড়ি পার্কিং করা থেকে বিরত থাকুন।
৮. লক্কর-ঝক্কর ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। এতে করে রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হয়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
৯. নির্ধারিত স্থান ব্যতীত রাস্তায় যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করবেন না।
১০. সরকারি সিদ্ধান্ত ও মোটরযান আইন মেনে গাড়ি চালান।
১১. গাড়ির চালকেরা আরো বেশি যাত্রীর আশায় রাস্তায় অযথা গাড়ি দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি করবেন না।
১২. রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করুন। যত্রতত্র রাস্তা পারাপারে গাড়ি চলার স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্থ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারীর জীবনের হুমকিও রয়েছে।
১৩. ভিআইপি ও অতি ব্যস্ত সড়কে রিকসা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ির মত স্বল্প গতির বাহন চালানো হতে বিরত থাকুন।
১৪. রাস্তা ও ফুটপাতে কেউ দোকানপাট বসাবেন না এবং বসাতে নিরুৎসাহিত করুন।
আপনার একটু সচেতনতাই বদলে দিতে পারে ঢাকা শহরের যানজটের হালচিত্র। আপনি যেমন বাসায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করবেন ঠিক তেমনি অন্যজনও তার পরিবারের সঙ্গে ইফতার করবেন। এটা মনে রেখে রাস্তায় চলাচল করুন। আপনার নিরাপদ রাস্তা চলাচল নিশ্চিতকল্পে ক্লান্তহীনভাবে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন