মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেব: সেতুমন্ত্রী

৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদযাপনে মেতে উঠেছে জাতি। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণ করতে করোনা পরিস্থিতিতেও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। অন্যদিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপোস নেই। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূল উপড়ে ফেলা হবে।

পূর্ব দিগন্তে বিজয়ের সূর্য উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনির শব্দে কেঁপে ওঠে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডসহ আশপাশ। এর মাধ্যমে শুরু হয় ৪৯তম বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা।

বরাবরের মতো এবারও প্রথম সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সম্মান। তবে প্রতি বছর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সশরীরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সামরিক সচিবগণ।

এরপর স্পিকারের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা, এবারের বিজয় দিবসের শপথ।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে একটি অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি। এবার বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হচ্ছে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেবো। আমাদের যে শপথ, আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ-এই প্রশ্নে আমরা কোনো আপোস করব না। সেটাও আমরা তাদের জানিয়ে দিতে পারি।

শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এর পরপরই জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

যেকোনো অপশক্তি রুখে দিয়ে এগিয়ে যাবে দেশ, বিজয় দিবসে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।