রাজধানীতে স্বামীর হাতে আওয়ামী লীগ নেত্রী খুন
রাজধানীর মিরপুরে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য উমামা বেগম কনকের (৪০) মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস, ৭৪৩ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় বোন রুমা জানান, কনকের স্বামী ওমর ফারুক দীর্ঘদিন জাপানে ছিলেন। দেশে আসার পর তিনি কিছুই করতেন না। এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ হতো। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে ফারুক ধারালো অস্ত্র দিয়ে কনককে কুপিয়ে আহত করে। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কনককে কুপিয়ে আহত করার পর ফারুক বাসায়ই ছিলেন। এরপর সবার কাছে স্বীকারও করেন যে, তিনি তার স্ত্রীকে কুপিয়েছেন।
স্বজনরা জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলায়। এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী কনক।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি পল্লবী থানায় জানানো হয়েছে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল অবস্থান করছি। বিস্তারিত জানার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওসি আরও জানান, নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে ও কনক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এদিকে উমামা বেগম কনকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এক শোক বিবৃতিতে তিনি মরহুমা উমামা বেগম কনকের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন