অবশেষে গাইবান্ধা সদর থানার ওসিকে রংপুরে বদলি
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজার রহমানকে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে গাইবান্ধা সদর থানা থেকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে সংযুক্ত করা হয়। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাইবান্ধার এসপি মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থে সদর থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে।
গত ৩১ মে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে গাইবান্ধার এসপির কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। অবস্থান কর্মসূচি থেকে সাত দিনের মধ্যে সদর থানার ওসির অপসারণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। ওই দিন ওসির অপসারণসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ওসিকে অপসারণ করা না হলে ১০ জুন অর্ধদিবস হরতাল পালনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। আলটিমেটাম অনুযায়ী ওই দিন জেলা শহরে অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়েছে।
বাকি দাবিগুলো হলো হাসান হত্যার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার, সদর থানার অভিযুক্ত পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ হোসেনকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা, বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং গাইবান্ধা জেলায় অবৈধ দাদন ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধা জেলা শহরের খানকা শরিফসংলগ্ন নারায়ণপুর এলাকার বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বাসা থেকে গত ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হাসান আলী শহরের থানাপাড়া এলাকার মৃত হজরত আলীর ছেলে এবং আফজাল সুজ গাইবান্ধা শাখার সাবেক মালিক। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ মাসুদ রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বীথি বেগম সদর থানায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। অপর দুজন হলেন শহরের স্টেশন রোডের জুতা ব্যবসায়ী রুমেল হক ও খলিলুর রহমান ওরফে বাবু মিয়া। এই দুই আসামি পলাতক আছেন।
এ ঘটনার পর সদর থানার ওসি মাহফুজার রহমানের অপসারণসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ। এ নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন অব্যাহত থাকে। তবে মাহফুজার রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন