ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে ভারতে পাচার করতেন তারা
রাজধানীতে মানবপাচার চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পল্লবী ও উত্তরা থেকে সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— চক্রের মূলহোতা মল্লিক রেজাউল হক ওরফে সেলিম (৬২) ও তার দুই সহযোগী নিরঞ্জন পাল (৫১) ও মো. বুলবুল আহমেদ মল্লিক (৫৫)।
মঙ্গলবার দুপুরে কারওয়ানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, মানবপাচারকারী এই চক্রটি বিদেশ গমনেচ্ছুদের টার্গেট করে অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখাত। যারা যেতে রাজি হতো তাদের কাছ থেকে ১২-১৫ লাখ টাকা করে নিত।
এর পর বাংলাদেশ থেকে ভিসা পাওয়া জটিল বলে বুঝিয়ে তাদের ভারতে নেওয়া হতো। সেখানে যাওয়ার পর তাদের টর্চার সেলে আটকে রেখে আরও টাকা দাবি করত। চক্রটি শতাধিক ব্যক্তিকে ভারতে পাচার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ৪-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে ভারতে পাচার করে চক্রটি। পাচার হয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছু দিন কলকাতায় আটক থাকে জাহাঙ্গীর। আটক অবস্থায় কলকাতার টর্চার সেলে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। পরে নির্যাতনের এসব ভিডিও দেখিয়ে দেশে থাকা তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে অর্থ আদায় করে পাচারকারীরা।
‘দেশে এসে ভিকটিম জাহাঙ্গীর চক্রটির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে আমাদের কাছে। তার দেওয়া তথ্য ও অভিযোগ যাচাই করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়।’
এ সময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া পাসপোর্ট, পাসপোর্টের কপি, নকল ভিসা, আবেদনপত্র, বায়োডাটা, ছবি, মোবাইল, মোবাইল সিম এবং নগদ টাকাসহ মানবপাচারসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, এই চক্রের সহযোগী হিসেবে আরও ৫-৭ জন রয়েছে। তা ছাড়া ভারতেও তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগী রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কলকাতার রাজিব খান, মানিক ও দিল্লির রবিন সিংদের নাম পাওয়া যায়।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে রূপনগর থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন