নরসিংদীর রায়পুরায় নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকের চাপায় ৪ জন নিহত, আহত-৫
নরসিংদীর রায়পুরায় নিয়ন্ত্রণ হারানো সবজিবাহী ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজি যাত্রী ও সবজি বিক্রেতাসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আহত ৫ জন।
রোববার (২ অক্টোবর) ভোর ৬টার দিকে রায়পুরা উপজেলান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ এলাকার নামাপাড়ায় (মেশিনঘর) এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, রায়পুরার মাহমুদাবাদের মেশিনঘর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সিদ্দিক মিয়া (৫৫), বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (৬২), রায়পুরা উপজেলার নীলকুঠি এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪০) ও ভৈরব ফেরিঘাট এলাকার বজলু মিয়া (৬০)। আহত ব্যক্তিদের ভৈরব ও ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সবজিবাহী একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ এলাকা অতিক্রমের সময় বিপরীত দিকে সড়কের পাশে দাড়ানো যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে পাশ কাটানোর সময় ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজির দুই যাত্রী নিহত হন। এসময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের একটি সবজি বাজারে ঢুকে উল্টে যায়। এ সময় এর নিচে চাপা পড়েন আহত পাঁচজন সবজি ক্রেতা-বিক্রেতা। তাদের মধ্যে দুই সবজি বিক্রেতার মৃত্যু হয়। আহতদের প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সেখান থেকে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। এসময় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে হাইওয়ে থানায় নেয়া হয়।
ভৈরব হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মো: মোজাম্মেল হক জানান, ভৈরব থেকে গ্যাস নিয়ে ফেরা সিএনজিকে চাপা দিয়ে সবজিবাজারে ঢুকে উল্টে গিয়েছিল ট্রাকটি। এ দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে দুজন সিএনজি যাত্রী, অন্যদুজন সবজি বিক্রেতা। ট্রাক ও সিএনজি, গাড়িদুটো জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এর আগেও গত ৩০ জুন রায়পুরার মাহমুদাবাদ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারানো কাভার্ড ভ্যানের চাপায় পাঁচজন সবজির ক্রেতা-বিক্রেতা নিহত হয়েছিলেন। তাঁরা হলেন, মাহমুদাবাদের মেশিনঘর এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়া (৫০), জনাব আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৬৪), সেন্টু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৩৫), তায়েব মিয়ার ছেলে মাসাকিন মিয়া (৪৫) ও ফজর আলীর ছেলে ফারক মিয়া (৫০)। তারা সবাই ওই দুর্ঘটনার সময় দাঁড়িয়ে সবজি বিক্রি করছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন