নারী ক্ষমতায়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নারীবান্ধব মেট্রোরেল : প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠ উপহার নারীবান্ধব মেট্রোরেল। যা নারীর ক্ষমতায়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মেট্রোরেলের নারীচালক, নারী যাত্রীদের জন্য পৃথক কম্পাার্টমেন্ট, পৃথক ওয়াশরুম ও শিশুদের পরিচর্যার ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা নারীদের জন্য এক বিশেষ ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারী) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সুচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। জয়িতাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৩৫টি বিভিন্ন ট্রেড্রে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় ৪৮ হাজার নারীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধমে তৃণমূল নারীদেরকে প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করছে সরকার।
তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে নারী অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়নে প্রকল্প, কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। যার ফলে জেন্ডার সমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে একসাথে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী ঢাকা বিভাগের নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরিতে ফরিদপুর জেলার শাহীদা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শরীয়তপুর জেলার মমতাজ বেগম, সফল জননী ক্যাটাগরিতে শরীয়তপুর জেলার লুতফন নেছা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা মাদারীপুর জেলার রাজিয়া সুলতানা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সনু রানী দাস।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো: খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন