সাতক্ষীরার কলারোয়ায়

গাছে গাছে আমের মুকুলে দুলছে চাষী-ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আম গাছে মুকুল শোভা পাচ্ছে। স্থানীভাবে আমের মুকুলকে ‘বোল’ বলে অভিহিত করা হয়। সেই আমের মুকুল তথা বোলে ঘাণ ছড়াচ্ছে মনকাড়া। আমের মুকুলে ছোট পাখি ও মৌমাছির বসার দৃশ্য দেখা মিলেছে গাছে গাছে।

শীতের প্রকোপ কমে জানান দিচ্ছে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। সেই বার্তায় আগেভাগেই আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে উপজেলার সকল এলাকার আম গাছগুলো। থোকা থোকা মুকুলের শোভায় আম গাছে যেনো মনে হচ্ছে ঘি রংয়ের ফুলের সমারোহ। গাছে গাছে আমের মুকুল আসায় ইতোমধ্যে গাছ ও বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক স্প্রেসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

চন্দনপুরের ওমর ফারুক, সিংগার আব্দুল জব্বার, বাটরার জুয়েলসহ আম গাছ মালিক, বাগান মালিক এবং মৌসুমী আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, আম বাগানে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ কয়েকবার স্প্রে করা হচ্ছে। নানানভাবে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারো বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’
পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে আমের উৎপাদন বাড়বে এমনটা আশা তাদের।

জানা গেছে, বেশ কয়েকবছর ধরে দেশ-বিদেশে কলারোয়াঞ্চলের আমের চাহিদা বেশ। স্বাদ আর মানের গুনে আমের চাহিদা বাড়ায় এর চাষাবাদও বেড়েছে। বাড়ির আঙিনাসহ বিভিন্ন স্থানে আম গাছ রোপনের চেয়ে বর্তমানে আম বাগান গড়ে তোলার দিকে বেশি ঝুঁকছেন অনেকেই। পতিত জমির পাশাপাশি ফসলী জমিতেও বিভিন্ন জাতের আম বাগান তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবছর আমের মৌসুমে নিজেদের খাওয়ার চাহিদা মিটিয়েও বিপুল অংকের আয়ের মুখ দেখছেন আম বিক্রি করে। এতে আম গাছের মালিক, বাগান মালিক ও মৌসুমী আম ব্যবসায়ীরার স্বপ্ন দেখছেন আমের ইতিবাচকতা নিয়ে।

কলারোয়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভালো ফলন পেতে আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের সার্বক্ষনিক নানান পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবাহওয়া ভালো থাকলে এবারো কলারোয়ায় আমের বাম্পার উৎপাদন আশা করা হচ্ছে।