নওগাঁয় ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরীর কারখানায় ভ্রামমান আদালত পরিচালনা
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কচুয়া নামক স্থানে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরীর কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করেছেন আত্রাই উপজেলার ভুমি কর্মকর্তা। অবৈধভাবে ব্যাটারি পুড়িয়ে চলছে সীসা তৈরির কাজ আর এই কাজ করার অপরাধে এক’টি সিসা কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বেলা ৯ টার সময় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা করা হয়। এ সময় কারখানায় কাজ করার সময় আদালত দুইজনকে আটক করে পরে তাদেরকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা যায়, উপজেলার কচুয়া এলাকার রাস্তার সংলগ্ন নির্জন স্থানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সিসা তৈরীর কারখানা তৈরি করে। জেলার বিভিন্ন এলাকার পুরাতন ব্যাটারী কিনে এনে ঐ কারখানায় পুড়িয়ে সিসা তৈরি করে। আর এই কারখানা থেকে নির্গত হচ্ছে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয়রা। আক্রান্ত হচ্ছে ফসলেন জমি আর ওই এলাকার মাঠের ঘাস খেয়ে গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। কারখানাটি চারপাশে টিনের বেড়ার তৈরি ঘরে চলছে কারখানার কাজ। কোনো সাইনবোর্ড না থাকলেও কাছে গেলেই বোঝা যায়, ভিতরে রয়েছে সিসা কারখানা।
এখানে পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা উৎপদনের কাজ চলছে রাতদিন। কারখানা থেকে বের হচ্ছে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। তা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। এই ধোঁয়ার কারণে আশপাশের এলাকাবাসীর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে ওই এলাকার অনেক শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ব্যাটারির ধোঁয়া ঘাসের ওপর পড়ে। আর সেই ঘাস খেলেই মারা যায় গরু।
এছাড়া আম, কাঁঠাল ও বিভিন্ন ফলমূলেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এ কারখানায় যারা কাজ করছে, তাদের অনেকের বয়স ১৮ বছরের কম। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার সময় কোনো মাস্কও ব্যবহার করে না শ্রমিকরা। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও কারখানা সংলগ্ন স্থানে। দুই ভাগে ভাগ হয়ে ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছে শ্রমিকরা। দিনের শ্রমিকরা ব্যাটারি ভেঙে খুলে রাখেন, আর রাতে চলে ব্যাটারি পোড়ানোর কাজ। এভাবেই চলছে কারখানার কাজ।
অভিযান পরিচালনার সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিতি ছিলেন নওগাঁ জেলা কাযালয়ের পরিদশক উত্তম কুমার, পরিবেশ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কাযালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মলিন মিয়া, আত্রাই থানার একদল পুলিশ সদস্য সহ এই মোবাইল কোট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন