নরসিংদীর বেলাবতে হাইওয়ে পুলিশের বিরদ্ধে চালককে মারধরের অভিযোগ, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
নরসিংদীর ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত চাঁদাবাজি, চালক ও প্রতিবাদকারীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও মারধর করে আটকে রাখার প্রতিবাদে ঢাকা—সিলেট মহাসড়ক দেড় ঘন্টা অবরোধ করে রাখে স্থানীয় জনতা।
২২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ঢাকা—সিলেট মহাসড়কের বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। অবরোধের কারণে সড়কের দুই দিকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি মহাসড়কের ভৈরব হতে মরজাল পর্যন্ত ভৈরব হাইওয়ে থানার উপ—পরিদর্শক ও কয়েকজন সহযোগী পুলিশ দালাল দিয়ে থ্রি—হুইলার চালকদের থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন হয়রানি করে আসছে। নিয়মিতভাবে সিএনজি আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া ও চালকদের মারধর করার অভিযোগ উঠছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণপুর বাজার থেকে অটোরিকশা নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের পাশে আসা মাত্রই ভৈরব হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক আজিজ ও মাসুদসহ ৫ সদস্যের পুলিশ চালককে মারধর করে টেনে হেচড়ে তার অটোরিকশাটি নিয়ে যেতে চাইলে পথচারীরা বাঁধা দেন। এসময় চালক ও পথচারীদের লাঞ্চিত করে পুলিশ। পরে প্রতিবাদকারী পথচারীকে থানায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের নামে পুলিশী হয়রানির প্রতিবাদে চালক ও স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধ চলাকালে হাইওয়ে পুলিশের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জুহেরা খাতুন বলেন, ‘নারায়ণপুর বাজার থেকে অটোরিকশাটি বাসস্ট্যান্ড আসার আগেই চার পাঁচজন পুলিশ চালককে মারধর করে অটোরিকশাটি নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। এটা খুবই অন্যায়। অঅমরা বিচার চাই।’
যাত্রী ও ভুক্তভোগী চালক আ: ছালাম, মনজুসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। ভৈরব থেকে মরজাল পর্যন্ত মহাসড়কে হরহামেশা চলছে সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাক্টর। তবে এ সুযোগ সবার জন্য নয়। যারা মাসিক চাঁদা দিবে শুধু তাদের জন্য। অন্যরা নিয়মিত ফেঁসে যাচ্ছেন পুলিশের জালে। কেউ নগদ ২—৫ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন। আবার অনেকের গাড়ির নামে দেয়া হচ্ছে মামলা।
মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহাম্মেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। বিচারের আশ্বাস দিলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তিনি বলেন, ‘ যানযট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিচারের আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফখরদ্দিনের কাছে মুঠোফোন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচিয় শুনে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। বার বার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন