দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আসন্ন দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, দ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন বাস্তবায়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সবার জন্য সমান প্রয়োগের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞা মিলনায়নে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এছাড়া প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সরকারি খরচে সিসিটিভির ব্যবস্থা করাসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংগঠনের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সারা দেশে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে মন্দিরে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুর্গাপূজা ও নির্বাচন এই দুটি বিষয় নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। কারণ পূজার আগে ও পরে এবং যেকোনো নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ও তাদের স্থাপনার ওপর আঘাত নিয়মিতভাবে হচ্ছে।’

এরইমধ্যে বিভিন্ন জেলায় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে জানিয়ে পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। তাই এবার পূজা মণ্ডপ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনা সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই ভাবতে শুরু করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ এর দুর্গা পূজার আগে এবং বিশেষ করে পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভীতি প্রদর্শন, শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে মন্দিরে আক্রমণ করা, দুর্গাপূজায় বাধা দেওয়া, সারাদেশে ধারাবাহিক হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যা, মন্দির ভাঙচুর, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মহোৎসব শুরু হয়েছিল। এবারও আমরা সেই ধরনের আশংকা করছি।’

আগামী ১৩ অক্টোবর দাবি আদায়ের স্বপক্ষে ঢাকাসহ দেশব্যাপী হিন্দু মহাজোট মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়। এসময় সংগঠনের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।