ওসি-ইউএনওরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এখন যাঁরা যেভাবেই অভিযোগ করেন না কেন মূলত খেলাটা হবে ভোটের দিন। ওসি, ইউএনওরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না, কিছুই করতে পারবেন না। যদি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রে তাঁর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারেন।
রোববার বেলা ৩টার দিকে ময়মনসিংহ টাউন হলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয়টি জেলার প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে ভাষাসৈনিক আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ১১টি সংসদীয় আসনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে কেন্দ্রের ভেতরে ভারসাম্য তৈরি করতে হবে প্রার্থীদের। তাদের কেন্দ্রে অবশ্যই পোলিং এজেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। যদি পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়, তাৎক্ষণিক প্রিজাইডিং ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। ঘটনা সকালে ঘটল আর অভিযোগ করা হলো বিকেলে সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
‘ভোটের দিন কেন্দ্রে ডিআইজি, এসপি এবং বিভাগীয় কমিশনার যাবে না। আর যদি তারা যায়ও এবং প্রভাব খাটায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন্দ্রের মূল দায়িত্বে থাকবেন প্রিজাইডিং অফিসার।
‘নির্বাচন অবাধ করার জন্য কেন্দ্রের বাইরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য থাকবে। আপনারা দেখেছেন আমরা ঢালাও ওসি, ইউএনওসহ প্রশাসনের অনেককে বদলি করেছি। এখনো প্রশাসনের অনেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাচ্ছি সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামসহ প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন