কুরবানির পশুবাহী নৌযানে ‘কোন ঘাটে যাবে’ লেখা ব্যানার থাকতে হবে

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, কুরবানির পশুবাহী প্রতিটি নৌযানে ব্যানার টাঙাতে হবে; যেখানে লেখা থাকবে- ‘কোন ঘাটে যাবে’। সেই ঘাটে যেন সেটি যেতে পারে সেটাও আমরা নিশ্চিত করব। পশুবাহী নৌকায় যেন ওভারলোড করে পশু পরিবহণ করা না হয় সেটা আমরা নজরদারির মধ্যে রাখব।

রাজধানীর গুলশানে নৌ পুলিশের সদর দপ্তরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আবদুল আলীম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ১৭ জুন ইনশাল্লাহ ঈদুল আজহা উদযাপন করব। নৌপথে যাত্রী, পণ্য ও কুরবানির পশু পরিবহণের বিষয়ে প্রতি বছরের মতো আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। নৌপথ নিরাপদ রাখতে পুলিশের পোশাকে ও সাদা পোশাকে আমাদের সদস্য মোতায়েন থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের ১০৮টি নদীকেন্দ্রিক গুরুত্বপূর্ণ পশুর হাট রয়েছে। নদীর পারেই বসে, এবারও বসবে। সেগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। প্রতারণা রোধে ১০৮টি হাটে জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করবে নৌ পুলিশ।

আলীম বলেন, কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসহীন নৌযান চলাচল করতে দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত মালামাল-যাত্রী লঞ্চের ছাদে যাতে পরিবহণ করতে না পারে সেটি আমরা নিশ্চিত করব। ঝুঁকিপূর্ণ-ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যাতে যাত্রী পরিবহণ করতে না পারে সেটিও আমরা দেখব। নৌকায় গিয়ে মাঝপথ থেকে যাতে লঞ্চে যাত্রী উঠতে না পারে সেটাও আমরা দেখব।

তিনি বলেন, অনিবন্ধিত স্পিডবোট যাতে চলতে না পারে সেটি নিশ্চিত করা হবে। সূর্যাস্তের পর কোনো স্পিডবোট চলবে না। স্পিডোমিটার ব্যবহার করে নৌযানের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জে যাতে লঞ্চ এলোমেলো পার্কিং না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে।

আগামী ১৪ থেকে ২০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র কুরবানির পশু, নিত্যপ্রয়োজনীয় পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক চলবে। সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলবে না। ১৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত সারা দেশে বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।