আশুলিয়ায় ১৬টি ঝুটের গোডাউন আগুনে ভস্মীভূত
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এক ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে ১৬টি ঝুটের গোডাউন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিটের কর্মীরা প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে ব্যাপারে জানাতে পারেনি ফায়ারসার্ভিস।
শনিবার (২৪) আগস্ট রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের এনায়েতপুর ফুলের টেক এলাকায় ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও নবীন মিয়া নামের এক ব্যক্তিরসহ অন্তত ১৬টি গোডাউন আগুনে ভস্মীভূত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ১১টার দিকে ঝুটের গোডাউনের মধ্য থেকে আগুনের ধোয়া উড়তে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো গোডাউনে আগুন দাও দাও করে জ্বলতে থাকে। সবাই এলাকাবাসী প্রাথমিকভাবে আগুন নিভাতে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে।
ফায়ারসার্ভিস জানায়, আগুনের খবর পেয়ে জিরাবো মডার্ন ফায়ারসার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে ডিইপিজেড থেকে ফায়ারসার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং ধামরাই ফায়ারসার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। পরে ফায়ারসার্ভিসের মোট ৭টি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, আগুনে ১৬টি গোডাউন পুড়ে গেছে। আমাদের ৭টি ইউনিট কাজ করেছে। পরে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান ফায়ারসার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
তবে এলাকাবাসী জানান, সাইফুল ইসলামের এ ঝুটের গোডাউনে বিভিন্ন লোকের ঝুট ছিনতাই করে এনে জমা করেছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আগুন লাগাতে পারে।
স্থানীয় জানায়, ঝুটের গুদামের আশেপাশে বাড়ি একটু দূরে থাকায় আগুন থেকে গ্রামটি রক্ষা পেয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কিভাবে লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কি হয়েছে ঝুট গোডাউনের কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেনি।
এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন