বগুড়ার শিবগঞ্জে সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাইটিভি’র শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করেছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার শিবগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের চিকাদহ অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ২০২১ সালের ১১ই নভেম্বর ইউপি নির্বাচনের ৪দিন পূর্বে অত্র আটমূল ইউপির আওয়ামীলীগের পদধারী ব্যক্তিদের ইশারায় আমাকে হাত পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি প্রদান করা হয়। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে পিরব ইউপির ভাটরা গ্রামে নিজ শশুর বাড়িতে জীবন রক্ষার জন্য পরিবারসহ বসবাস করতে থাকি।

ইউপি নির্বাচনের পর কিছু দিন অতিবাহিত হলে আমি নিজ বাড়িতে যেতে চাইলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গত ২০২১সালের ২০ নভেম্বর আমার কাছে থেকে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ১লক্ষ টাকা চাঁদার বিষয়ে আমার বোন আঙ্গুয়ারা বিবি আপন খালাতো ভাই আব্দুল খালেকের সাথে মোবাইলে কথা বলে। তখন আমার মামা জাহিদুল ইসলাম দুদু বলে বাড়িতে বসবাস করতে হলে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে।

তাছাড়া হাত পা ভেঙ্গে দিবে। আমার বোন ও মা নিরুপায় হয়ে জাহিদুল ইসলাম দুদুর বাড়িতে গেলে দুদু ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমার বোন, মা এবং আপন মামা দিদারুল ইসলামসহ, জাহিদুল ইসলাম দুদুর বাড়িতে যায় এবং অনেক কথার পরে আমাকে মারবেনা মর্মে হামিদুল, মিজান, রুবেল, মোজফফর, মোসাদ্দেক এই ৫জন ব্যক্তি আমার মা, বোন এবং মামা দিদারুলের উপস্থিতিতে ১০হাজার চাঁদার টাকা দুদুর হাতে প্রদান করে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, টাকা নেওয়ার পরে মিজান, হামিদুল, রুবেল, মোসাদ্দেক, মোজাফফর এরা বলে মিজানের বাড়িতে শালিস বসতে হবে। ঐ রাত ১২টার সময়ে আমি আমার মা, বোন, মামা দিদারুলসহ মিজানের বাড়িতে শালিস হয়। ঐ শালিসে আমাকে বিভিন্ন ভাবে মানষিক নির্যাতন চালানো হয়।

শালিস শেষে চাঁদার বাঁকি ৪০ হাজার টাকা মৃতঃ আবু তোয়াবের ধান ভাঙ্গা মিল ঘরের সামনে আমার মা, বোন ও আপন মামার উপস্থিতিতে সকল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চাঁদার বাঁকি ৪০ হাজার টাকা মিজানের হাতে প্রদান করেন।

চাঁদার টাকা পেয়ে অভিযুক্তরা আটমূল ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রুবেলের বাড়িতে ৫০টি হাঁস জবাই করে খাওয়ার আয়োজন করে আনন্দ উল্লাস করে। তার কয়েক দিন পরেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাকে রাস্তা আটকে দিয়ে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে বাম হাত ভেঙ্গে দেয় এবং মোটরসাইকেল ও ভেঙ্গে ফেলে।

কামরুজ্জামান আরও বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার পতনের পর গত ২০-১০-২০২৪ইং তারিখে আমার মা মাহমুদাকে চাঁদার টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য জাহিদুল ইসলাম দুদুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। চাঁদার টাকা ফেরত দিবেনা মর্মে আমার মা তার বাড়ি থেকে চলে আসে।

অভিযুক্তদের অব্যাহত হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি আমি জেনে ১৪জনকে অভিযুক্ত করে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন হয়েছে।