চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান মুক্তিযোদ্ধার কন্যা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের দীর্ঘ সময় ধরে সমাজ উন্নয়ন ও মানবতার সেবায় কাজ করে গেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা মরহুম ওবায়দুল হক খন্দকার। প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন স্কুল মসজিদ ও মাদ্রাসা। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সমাজ ও শিক্ষারমানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে তারই কন্যা বিএনপি নেত্রী আইরিন পারভীন খন্দকার।
এই ধারাবাহিকতায় সোমবার ৪ (নভেম্বর) সকালে মিরসরাই কলেজ ও করেরহাট ইউনিয়নের তার বাবার প্রতিষ্ঠিত অলি নগর লায়লা বেগম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন। দুপুরে করেরহাট রশিদিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শতাধিক এতিম শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করেন।
এর আগে গত শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নে নির্মাণাধীন মসজিদের জন্য নগদ অর্থ অনুদান দেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মানুষের কল্যাণে বাড়িয়ে দিয়েছেন তার সাহায্যের হাত।
করেরহাট ইউনিয়নের আশি উর্ধ এক বিদ্ধ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল হক খন্দকার একজন সমাজের আলোকিত মানুষ ছিলেন। মানুষের বিপদে আপদ, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনে তার অবদান রয়েছে। তিনি জনগণের রায়ে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
তার যোগ্য উত্তরসূরী আমেরিকান প্রবাসী আইরিন পারভীন খন্দকার দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা চাই যে তার বাবারমতো সেও মিরসরাইয়ের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ পান। আমরা তাকে বিএনপি থেকে এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। ’
বিএনপি নেত্রী আইরিন পারভীন খন্দকার বলেন, আমার বাবা মানুষের জন্য কাজ করে গেছে আমিও তাই বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মানুষের সুখ দুঃখে শামিল হয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। এ অঞ্চলের মানুষ আমার বাবাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে গেছেন। আমিও বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মিরসরাইয়ের আপামর জনসাধারণের সেবা করতে চাই।’
আইরিন পারভীন খন্দকার বলেন, স্বৈরাচারের নির্যাতনে জর্জরিত বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। আইনি সেবার জন্য আদালতে উকিল নিয়োগ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে খোঁজখবর রেখেছি। এখনো তা অব্যাহত আছে ভবিষ্যতে ও থাকবে ।’
বীর মুক্তিযোদ্ধার এ কন্যা আরো বলেন ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান পারিবারিকভাবে বাবার হাত ধরে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রীয় হয়েছি। পারিবারিক কারণে ইউএসএ থাকলেও সেখানে থেকে দলীয় সকল কর্মসূচীতে সক্রিয় ভাবে জড়িত রয়েছি। করোনাকালীন সময়ে নিজ এলাকায় এসে অসহায় ও কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে ছিলাম।
বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে মিরসরাইতে বিএনপির কোন শক্তিশালী প্রার্থী ছিলো না। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মিরসরাই আসনটি দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ওবায়দুল হক খন্দকার মিরসরাই আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন