পুড়ে গেল নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রিয়কের গাড়িটিও
গাজীপুরের পোড়াবাড়ী-মাস্টারবাড়ি এলাকায় নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মো. ফারুক হোসেন প্রিয়কের প্রিয় প্রাইভেটকারটিও আজ হঠাৎ আগুন ধরে পুড়ে গেছে। তবে এ যাত্রায়ও বেঁচে গেছেন প্রিয়কের মামাত ভাই মাসুম। চলতি বছরের মার্চে নেপালে দুর্ঘটনা কবলিত বিমানে প্রিয়কের সঙ্গে মাসুমও ছিলেন। দুর্ঘটনায় প্রিয়ক মারা গেলে প্রাণে বেঁচে যান মাসুম।
শনিবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়িটিতে আগুন ধরে গেলে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ও হাইওয়ে পুলিশ গিয়ে আগুন নেভায়। এ ঘটনায় কেউ দগ্ধ কিংবা আহত হননি। তবে ওই পথে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়।
নাওজোর হাইওয়ে ফাঁড়ির এসআই প্রদীপ কুমার মজুমদার জানান, প্রিয়কের মামাতো ভাই মেহেদী হাসান মাসুম শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকা থেকে কারটি চালিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করেই গাড়ি থেকে ধোয়া বের হতে দেখে মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি ওয়ার্কশপের সামনে নিয়ে কারটি দাঁড় করান।
এর কিছুক্ষণ পরই দাউ দাউ করে কারটিতে আগুন জ্বলতে থাকে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নেভান। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে (ঢাকার দিকে) যানচলাচলে সামিয়ক বিঘ্ন ঘটে এবং যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রিয়কের চাচাতো ভাই মো. লুৎফর রহমান জানান, কারটি প্রিয়কের খুব প্রিয় ছিল। প্রিয়কের মামাতো ভাই মাসুম কারটির ত্রুটি সারাতে এবং কাগজ নবায়ন করতে শনিবার সকালে কারটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। পরে পথে কারটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি।
মাসুম এ বছরের ১২ মার্চ নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় প্রিয়কের সঙ্গেই বিমানের যাত্রী ছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন। আজ আগুনে কারটি পুড়ে গেলেও মাসুম অল্পের জন্য অক্ষত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে গেছেন।
জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে কারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় ২০মিনিটের চেষ্টায় আগুন নেভান। তবে এতে কেউ আহত হননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন