অন্তর জ্বালা মান্নাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলবে : শেলী মান্না

মানুষ মারা গেলে কেউ মনে রাখে না। মান্নার ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই হয়েছে। তবে তার পাগল ভক্তের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে অন্তর জ্বালা ছবি। আমার বিশ্বাস এ ছবিটি মান্নাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলবে। আমি অন্তর জ্বালা ছবির সাফল্য কামনা করছি।

কথাগুলো বলছিলেন, প্রয়াত নায়ক মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না। অন্তর জ্বালা ছবিটি পরিবেশনা করছে মান্নার প্রযোজনা সংস্থা কৃতাঞ্জলি কথাচিত্র। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে শেলী মান্না বলেন, এ ছবির পরিচালক মালেক আফসারী ও জায়েদ খান দুজনেই মান্না ও তার ভক্তকে নিয়ে ছবি নির্মাণ করেছেন। আমি এ ছবির সাফল্য কামনা করছি। পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবে জায়েদ খান এ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমি এখনও অন্তর জ্বালা ছবিটি দেখিনি। তবে এর ট্রেলার দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে, এ ছবিতে দর্শকরা এক অন্য জায়েদ খান দেখতে পাবেন। তাছাড়া ছবির জন্য তার ডেডিকেশন আমাকে মুগ্ধ করেছে। শুনেছি জায়েদ আরও একটি ছবি নির্মাণ করবেন আমি চাইব পরের ছবিটিও যেন কৃতাঞ্জালি কথাচিত্র থেকে মুক্তি পায়।

এর আগে মান্না যখন বেঁচে ছিলেন তখন কৃতাঞ্জলি কথাচিত্র থেকে ছবি নির্মিত হতো এবং পরিবেশনা করতো। তবে সেটা ১০ বছর আগের কথা। শেলী মান্না আরও বলেন, এখন থেকে নিয়মিত ছবি পরিবেশনা করবে কৃতাঞ্জলি কথাচিত্র। পাশাপাশি আগামী বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমা নির্মাণ করা হবে।

এ সময় শেলী মান্নার পাশে ছিলেন জায়েদ খান, মালেক আফছারী, মিশা সওদাগর, খোরশেদ আলম খসরু প্রমুখ। চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, আমার এত দিনের ক্যারিয়ারে একেবারের ভিন্নধর্মী ধারার ছবি অন্তর জ্বালা। তাছাড়া মাস্টার মেকার মালেক আফসারীর নির্দেশনায় কাজ করেছি। আমার স্বপ্ন ছিল তার সঙ্গে কাজ করার।

তিনি বলেন, আমি এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য কোনো ঘাটতি রাখিনি। পরিচালক যা বলেছেন তাই করেছি। পরিচালকের চাহিদা মতো কয়েক হাজার বাস ভাড়া করেছি শুটিং এর জন্য, নিজে তিন মাস ঠিকমতো খাইনি, চুলদাড়ি কাটিনি।

মালেক আফসারি বলেন, অন্তর জ্বালা’ ছবিটি আমার স্বপ্নের একটি চলচ্চিত্র। ছবিতে আমার সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও সময় ব্যয় করেছি। চলচ্চিত্র বানানোর সব অভিজ্ঞতা ঢেলে দিয়েছি। সেজন্য ‘অন্তর জ্বালা’ ফ্লপ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আর যদি ফ্লপ হয়, তবে আর কোনোদিন চলচ্চিত্র পরিচালনা করব না। এটি হবে আমার শেষ ছবি।’

অন্তর জ্বালায় জায়েদ খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন পরীমনি, নবাগত জয় চৌধুরী, মৌমিতা মৌ, প্রয়াত খল অভিনেতা মিজু আহমেদ, সাঙ্কু পাঞ্জা, রেহেনা জলী, বড়দা মিঠু ও চিকন আলী।