কী আছে জাতীয় ঐক্যের ঘোষণাপত্রে?

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশ থেকে।

সমাবেশের শেষ দিকে ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান দশম সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বান প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। ঘোষণাপত্রে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনগত ও ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়।

ঘোষণাপত্র পাঠ করার পর ড. কামাল হোসেন মঞ্চে সবার উদ্দেশে জানতে চান, এই ঘোষণাপত্রে কি সবাই একমত? পরে উপস্থিত সবাই দুই হাত তুলে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

ঘোষণাপত্রে গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশের প্রতিটি জেলা, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে জাতীয় ঐক্যের কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ গণজাগরণের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয় ঘোষণাপত্রে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মঞ্চে উপস্থিত জাতীয় নেতারা একসঙ্গে হাত তোলেন। এরপর নাগরিক সমাবেশ শেষ হয়।