জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি, এক বছর পর শনাক্ত জাবি ছাত্রী!

জাহাঙ্গীরনরগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মোফসেনা ত্বাকিয়া নামের এক শিক্ষার্থী জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ত্বাকিয়ার দেয়া তথ্য মতে, সে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ির মোস্তাফা আহম্মেদের মেয়ে। জাহাঙ্গীরনরগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সি’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অপেক্ষামান ছিল। সে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে রোল নং ২২৩৮ বলে পরিচয় দিত।

প্রক্টর অফিসে স্বীকারোক্তিতে ত্বাকিয়া উল্লেখ করে, ‘‘আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নই। কিন্তু আমি ভর্তি জালিয়াতির স্বীকার। আমি আমার অপরাধ স্বীকার করে নিচ্ছি। সাহেদ ইসলাম ওরফে আল আমিন নামের এক শিক্ষার্থী ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে ভর্তি করিয়ে দেয়।’’

প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, বিভাগীয় সভাপতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করে জালিয়াতির সত্যতা পেয়েছি। ত্বাকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। সুতরাং সে আমাদের ছাত্রী নয়। এজন্য তাকে শাস্তি না দিয়ে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ‘ক্লাসে ত্বাকিয়ার কোনো সঠিক রোল নম্বর ছিল না। কিন্তু সে অনুশীলনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সর্বশেষ ১ম বর্ষের ফরম পূরণ করতে গেলে তার জালিয়াতির বিষয়ে আমাদের সন্দেহ হয় এবং প্রক্টর অফিসকে অবহিত করি।’

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪২তম আবর্তনের ও বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক ছাত্র আল-আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে কোনো টাকার লেনদেন করেনি বলে স্বীকারোক্তি দেয়।