টাইগার বোলারদের জন্য শুধু হতাশাই

দক্ষিণ আফ্রিকার উড়ন্ত-দুরন্ত সুচনার পর ১৩ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ধারা ধরে রাখতে পারেননি টাইগার বোলাররা। তৃতীয় উইকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শক্ত প্রতিরোধের দেওয়াল তুলে দিয়েছে প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসির সঙ্গে সাবলীল ব্যাটিং করে যাচ্ছেন অভিষিক্ত আইডেন মারকরামও। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩৬ ওভারে ২ উইকেটে ২৪৪ রান।

রোববার একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের জায়গায় সৌম্য সরকার এবং নাসির হোসেনের জায়গায় মেহেদী হাসান মিরাজ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে স্বাগতিকরা। সফরে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সাথে নতুন বলই হাতে পান মিরাজ। কিন্তু বাংলাদেশের বিস্ময় অফ স্পিনারকে তার প্রথম ওভারেই তিনটি বাউন্ডারির মার উপহার দিলেন কুইন্টন ডি কক। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে ১২ এক বোলারের কাছ থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকা ইস্ট লন্ডনে কয়েকটি পরিবর্তন এনেও শুরুটা বরাবরের মতো ভালোই হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।

সফরের অন্যান্য ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও টাইগারদের ভোগান ওপেনাররা। এদিন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুইন্টন ডি কক আর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা টেম্বা বাভুমা গড়ে তোলেন ১১৯ রানের জুটি। হাশিম আমলা বিশ্রামে। টাইগারদের হয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন অফ স্পিনার মিরাজ। তার বলে লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন বাভুমা। আউট হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৪৮ রান করেছেন তিনি। এরপর স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ হতেই প্রোটিয়া শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মিরাজ। তার বলে ডি ককের ব্যাটের কানায় লেগে শুন্যে উঠে গেলে নিজেই ক্যাচ ধরেন। ৬৮ বলে ৭৩ রান দিয়ে গেছেন ডি কক।

এরপর আবার সেই পুরনো চিত্র। টাইগারদের হাতাশায় ডুবিয়ে দারুণ ব্যাট করে যাচ্ছেন ডু প্লেসি ও মারকরাম। এর মধ্যেই গড়েছেন ১১২ রানের জুটি। দুইজনই তুলে নিয়েছেন নিজেদের ফিফটি। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের তিনজনই হাফসেঞ্চুরি পেলেন। একটুর জন্য মিস করেছেন বাভুমা। ৬৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ডু প্লেসি। আর মারকরাম খেলছেন ৫২ রান নিয়ে।

নাসির হোসেন প্রথম দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েও বলার মতো কিছু করতে পারেননি। মিস্টার ফিনিশারের বদলে তাই মিরাজকে ঢোকানো হয়েছে টাইগার একাদশে। এটা ৩ ম্যাচ সিরিজে মাশরাফিদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর শেষ খেলা। আর তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে বাকি ম্যাচগুলোতে খেলতে পারবেন না। ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচটি খেললেও প্রথমটি খেলতে পারেননি তিনি। তার জায়গায় অফ ফর্মের সৌম্য সরকারই ফিরেছেন। মোস্তাফিজুর রহমানও ইনজুরির কারণে দেশে ফিরছেন। চোট জর্জর বাংলাদেশ দল বড় কঠিন পরীক্ষাতেই। বোলাররা এই সফরে যে কোনো প্রভাবই রাখতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের অবস্থাও তথৈবচ।

অধিনায়ক হিসেবে ৫০তম ম্যাচ খেলতে নামছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ বরাবরই মাইলফলকের ম্যাচগুলো ভাল খেলে। মাশরাফির এই ব্যক্তিগত মাইলস্টোন স্পর্শের দিনে উদ্বুদ্ধ হয়ে মাঠে ভাল খেলতে পারলে টাইগাররা তাদের হারানো আত্মবিশ্বাস অনেকটাই ফিরে পাবে। কিন্তু এর মধ্যে রানটা বেশি হয়ে গেছে!