বিতর্কের ম্যাচে জয়হীন রিয়াল

ভ্যালেন্সিয়া ঘরের মাঠ মেস্তায়া স্টেডিয়ামে গতকাল (শনিবার) রাতে আতিথ্য দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। স্বাগতিকরা দুই দফায় এগিয়ে গেলে কিছুটা হোঁচট খায় রিয়াল। যদিও সেই পরিস্থিতি থেকে তাদের মুক্তির পথ বের করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে শেষ পর্যন্ত লস ব্লাঙ্কোসদের জয় পাওয়া হয়নি। রিয়াল-ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচ শেষ হয়েছে ২-২ গোলে।

ম্যাচের শেষটা ছিল নাটকীয়তা আর বিতর্কে মোড়ানো। ব্রাহিম দিয়াজের ক্রসে হেড দিয়ে বল জালে পাঠান জ্যুড বেলিংহ্যাম। ঠিক সেই মুহূর্তে রেফারি ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজান। এতে উত্তেজিত রিয়াল ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানান, একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো বেলিংহ্যামকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। অ্যাঙ্কেলের চোট কাটিয়ে তিন সপ্তাহ পর এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন তিনি। ফেরার ম্যাচেই ইংলিশ মিডফিল্ডার তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হলেন।

এর আগে ম্যাচের প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় আধিপত্য দেখালেও আক্রমণে নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল রিয়াল। এর মাঝে উল্টো তিন মিনিটের ব্যবধানে তারা দুই গোল হজম করে ফেলে। যার শুরুটা হয় ২৭তম মিনিটে। যেখানে দু’বারই দায় ছিল রক্ষণভাগের।

রিয়াল ডিফেন্ডার বল হারিয়ে ফেলার পর ভ্যালেন্সিয়ার হুগো দুরো সতীর্থের ক্রসে দারুণ হেডে লিড এনে দেন। এরপর ভুল করে বসেন অভিজ্ঞ দানি কারভাহালও। গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিনকে ব্যাক–পাস দিতে গেলে ভ্যালেন্সিয়ার রোমান ইয়ারেমচুক তড়িৎ গতিতে ঢুকে বল দখল করেন, এরপর তাকে কাটিয়ে বল জালে জড়ান।

প্রথমার্ধের শেষদিকে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে কারভাহালের বাড়ানো বলে হাত ছোঁয়ান স্বাগতিক গোলরক্ষক। তবে তিনি ক্লিয়ার করতে না পারায় বল রদ্রিগোর পা ছুঁয়ে ভিনির পায়ে চলে যায়। কাছ থেকে নেওয়া শটে ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রিয়ালের ব্যবধান কমান।

বিরতির পর টনি ক্রুসের জায়গায় লুকা মদ্রিচ ও রদ্রিগোর পরিবর্তে ব্রাহিম দিয়াজকে নামান আনচেলত্তি। সেই দিয়াজের কাছ থেকে পাওয়া ক্রসেই ভিনি ৭৬তম মিনিটে রিয়ালকে সমতায় ফেরান। যদিও ভ্যালেন্সিয়ার তাতে অফসাইডের দাবি তোলেন, তবে ভিএআর রেফারির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।

যোগ করা সময়ের শুরুতে ভ্যালেন্সিয়ার দুরো রিয়ালের বক্সে পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ভিএআর সেই সিদ্ধান্ত বদলে দেয়। এরপর রিয়ালকে গোলের মুখ থেকে রক্ষার করে গোলরক্ষক লুনিন। চূড়ান্ত নাটকীয়তা হয় শেষ বাঁশি বাজানোর মুহূর্তে। যেই না বেলিংহ্যামের বল জালে জড়াচ্ছে, তখনই রেফারির শেষ বাঁশি বাজান। যা নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে তুমুল আলোচনা চলছে।