ঢাবিতে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী কুবিতে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক

ইমদাদুল হক মিরন ,কুবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) কলা ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই পরীক্ষার্থী হলেন মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন (কুবি ভর্তি পরীক্ষার রোল ২৫১০৮৬) ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (কুবি ভর্তি পরীক্ষার রোল ২৫৫৮৮৮)। তার মধ্যে মিনহাজ উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটে চান্স পেয়েছেন।

দুজনই চট্টগ্রাম কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাস অভ্যন্তরের বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রের ৫০৩ নম্বর কক্ষ থেকে প্রক্সির মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনকে আটক করা হয়। উক্ত অনুষদের ৫০১, ৫০২ ও ৫০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান সমন্বয়ক সূত্রে জানাযায়, ‘পরীক্ষা শেষ হলে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) মেলাতে গিয়ে ৫০৩ নম্বর রুমে অন্য কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি রোল নম্বর দেখতে পাই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সন্দেহ জাগলে আমরা তার প্রবেশ পত্রের সাথে উত্তরপত্র যাচাই করে সেখানে গড়মিল পেয়ে তাকে প্রশাসনকে অবহিত করি।’

অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন ঐ দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করে। অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী মধ্যে মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন জানায়,তার দাখিলের রোল নং ২৩৫১০১, উচ্চ মাধ্যমিকের রোল নং ৩০৮৯৪৭। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ২০১৮-১৯শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ৯৯১তম স্থান অধিকার করে, যা অনুযায়ী সে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। তবুও তার বন্ধু মো. মিজানুর রহমানের হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসে।

অভিযুক্ত ঢাবিতে চান্স পাওয়া মো. মিনজাজ উদ্দিনের উত্তরপত্র যাচাই করে দেখা যায়, সে প্রথমে তার রোল নম্বর ২৫১০৮৬ লিখলেও পরে তা মুছে মো. মিজানুর রহমানের রোল নম্বর ২৫৫৮৮৮ লিপিবদ্ধ করে উত্তরপত্র পূরণ করে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে কলমের কালি অস্পষ্টভাবে উত্তরপত্রে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়।

‘বি’ ইউনিটের আহবায়ক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ আবেদনকারী ২৪ হাজার ২৩২ জনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৪ হাজার ৮৪৭ জন যা মোট ভর্তি আবেদন কারীর ৬১ শতাংশ। একটি প্রক্সির ঘটনা ছাড়া আর কোন কেন্দ্রে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘ আমরা এখনও তাদের আটক করে রেখেছি( রাত ৮:৪৮ পর্যন্ত ) বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিবো।’