পঞ্চাশ লাখ দর্শক দেখলো ‘মেন্টাল ফেমিলি’ (ভিডিও)

গেল ঈদে টেলিভিশনে যতগুলো নাটক প্রচারিত হয়েছে তার মধ্যে দর্শক গ্রহন যোগ্যতা ও আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে ‘মেন্টাল ফেমিলি’। টেলিভিশন দর্শক মূল্যায়নের একক – টি.আর.পি তে দেখা যায় প্রায় ৩৫০/৪০০ ঈদের নাটকের মধ্যে ‘মেন্টাল ফেমিলি’র অবস্থান ৯ম। অন্যদিকে ইউটিউব পর্যালোচনা করে দেখা যায় খুব কম সময়ে অর্থাৎ ২ সপ্তাহ যেতে না যেতেই নাটকটির ভিউজ দাড়িয়েছে প্রায় ৫২ লাখে। যা এই ঈদে প্রচারিত নাটকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

কেন এত দর্শক প্রিয়তা ? এ প্রশ্ন এসেই যায় কারন খুজতে বেশ কয়েকজন দর্শকের সাথে কথা হয় যারা নাটকটি দেখেছেন। প্রায় সবার উত্তর একই রকম আর তা হল, নাটকের বক্তব্যে দেখা যায় আমাদের পরিবারের মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে বাবার বাড়ীতে তার আর তেমন কোন মূল্যায়ন বা গ্রহনযোগ্যতা থাকে না। আর যদি বাবা কিংবা মার মৃত্যু হয় তাহলেতো আরও না। এই সাধারন ও সবার পরিবারে ঘটে যাওয়া এমন একটি বিষয় নাটকের গল্পে নিয়ে এস খুব সাবলিল ভাবে উপস্থাপন করাই এ নাটকটি জনপ্রিয় হবার মূল কারন বলে মনেকরেছেন অনেক দর্শক।

নাটকটির নাট্যকার শ্রদ্ধেয় বৃন্দাবন দাসের কাছে প্রশ্ন ছিল, এত জনপ্রিয় একটি নাটক আমারা উপহার পেলাম যেটি এখন দর্শকের মুখে মুখে, আপনার মন্তব্য কি? উত্তরে তিনি বলেন, আমি যখন নাটক লিখি প্রতিটি নাটকই আমার কাছে সন্তানের মতো, চেষ্টা থাকে যেন সব নাটকই ভালো হয়। কোন নাটক দর্শক কেমন ভাবে নেবে সেটা বলা মুশকিল, তবে ‘মেন্টাল ফেমিলি’র ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী ছিলাম। আর তার মূল্যায়নও পেলাম। খুব ভালো লাগছে দর্শকের এত এত মন্তব্য দেখে।

নাটকটি সম্পর্কে পরিচালক দীপু হাজরা বলেন বৃন্দাবন দাস দাদার লেখা নাটক পাবার জন্য অধির আগ্রহে এক বছর অপেক্ষা করি। দাদার লেখা মানে আমার পূর্ণ ঈদের আনন্দ। আর সেই আনন্দ আরও রাঙিয়ে তুললো ‘মেন্টাল ফেমিলি’। ধন্যবাদ বৃন্দাবন দাদা, ধন্যবাদ চঞ্চল দা, খুশি আপা, আ.খ.ম হাসান, মিলি সহ সকল শিল্পী ও কলাকুশলীদের। যাদের পরিশ্রমে একটি ‘মেন্টাল ফেমিলি’ তৈরি হয়েছে।

বৃন্দাবন দাসের রচনা ও দীপু হাজরার পরিচালনায় নির্মিত নাটকগুলো হচ্ছে ‘শাপলা স্টুডিও’, ‘গান মজিদ’,‘লাভ রশিদ’, ‘মফিজ বি.এস.সি’, ‘সেতু-বন্দন’, ‘উসিলা’, ‘হেপি ফেমিলি’ ইত্যাদি।

নাটকটি দেখুন-