বয়স ৪৪, ফিটনেসের গল্প শুনুন বিশ্বসুন্দরীর মুখে

সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের ব্যক্তিত্ব প্রশ্নহীন। তাঁকেও সম্পর্ক নিয়ে কটূ কথা শুনতে হয়েছে। মাতৃত্বকালীন মোটা হওয়ার খোটাও শুনতে হয়েছে। কিন্তু এসবকে তিনি পাত্তা দেননি। এখন ঐশ্বরিয়া ভালোবাসার স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী আদুরে আরাধ্যর মা। বিশ্বজুড়ে তাঁর প্রশংসায় ভাটা পড়েনি।

ঐশ্বরিয়ার জীবনের একটি আলোচনার অংশ হলো তাঁর সৌন্দর্য। এখন তাঁর বয়স ৪৪। এখনো তিনি প্রায়-নিখুঁত সৌন্দর্যের অধিকারী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে কসমেটিক সার্জারির বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি সাবলীল উত্তরও দেন।

ঐশ্বরিয়া বলেন, কসমেটিক সার্জারি আধুনিক সময়ের বাস্তবতা। ‘আমরা উঁচু ঘোড়ার ওপর বসতে পারি না এবং তোমার এটার প্রয়োজন নেই- এই মার্কা উপদেশ দিতেও পারি না। অনেকেরই ভালো শরীর আছে, কিন্তু তাদের অতিরিক্ত কিছু নিতে হয়। তারপর আবার সাপ্লিমেন্ট নিয়েও নানা বিতর্ক, নেওয়া উচিত কি না? চিকিৎসক আছেন, তাদের পরামর্শ নিতে পারেন। পছন্দ নির্ধারণের আগে আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞান জানতে হবে।’

ঐশ্বরিয়াকে জিজ্ঞেস করা হয়, কঠোর ব্যয়াম ছাড়া আর কী উপায়ে তিনি তন্বী শরীর ধরে রেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রাকৃতিকভাবে তাঁর বিপাকীয় ক্ষমতা বেশি। তবে যোগব্যায়াম করতে হবে বলেও জানালেন তিনি।

‘সত্যি বলছি, মেটাবলিজমের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি কর্মক্ষম। আমি অলস নই। কাজ করলে কিছু মেদ এমনিতেই ঝরে যায়। আমি সৌভাগ্যবান, কিন্তু এখন ভাবি, আমার কিছুটা হলেও যোগব্যয়াম করা উচিত।’

অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি ঐশ্বরিয়াকে সমপ্রাপ্যতার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। মনে করা হয়, আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি অর্থ পাচ্ছেন অভিনেত্রীরা। তিনি জানান, এর জন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো ঐশ্বরিয়া রায় তাঁর পুরুষ সহ-অভিনেতার সমান পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন, কারণ ওই সময়ও তাঁর আন্তর্জাতিক খ্যাতি ছিল এবং হলিউডে ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ সিনেমায়ও অভিনয় করেছিলেন।