ভাংচুর, অগ্নিকাণ্ডের পরও ঢাবিতে বৈশাখী কনসার্ট হচ্ছে

শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে অগ্নিকাণ্ড এবং ভাংচুরের পরও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরের বৈশাখী কনসার্ট।

শনিবার সকালে দ্বিতীয় দফা আগুনের পর মল চত্বরে আয়োজিত বৈশাখী কনসার্ট অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

পরে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস সাদ্দাম হোসেনের আশ্বাসে শুধু কনসার্ট চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন অনুষ্ঠানের স্পন্সর কোমল পানীয় মোজোর অপারেশন ব্র্যান্ড হেড মার্কেটিং বিভাগের প্রধান আজম বিন তারেক।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি দশ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার জন্য এবং তাদের সহযোগিতা করব। পরে সাদ্দাম হোসেন দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা শুধু কনসার্ট চালিয়ে নেব জানিয়েছি। কিন্তু আজকের চৈত্র সংক্রান্তির ফোক অনুষ্ঠান বাতিল করেছি।’

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেই এখানে সামলাবো এবং আমি এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি।’

এর আগে চৈত্র সংক্রান্তিতে লোকসঙ্গীত ও পহেলা বৈশাখের দুই দিনব্যাপী কনসার্ট উপলক্ষে লাগানো ব্যানার, ফেস্টুন, বিজ্ঞাপন বুথ ও স্টলে ভাংচুর এবং আগুন দেয়ার ঘটনায় অনুষ্ঠান অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দলের জের ধরে এসব ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্পন্সর মোজোর স্টেজ, স্টল সবকিছু গুটিয়ে নিচ্ছে কর্মচারীরা।

আজম বিন তারেক বলেন, ‘কাল রাতে এই ঘটনা ঘটার পর আমাকে অনেক অনুরোধ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই আমি সবকিছু গুছিয়ে পুনরায় কাজ করা শুরু করলাম। সকাল ৮ টার দিকে চারজন লোক হেলমেট পরে এসে আমাদের সাউন্ড সরানোর যে বক্স, যার দাম তেতাল্লিশ লাখ টাকা, সেখানে পেট্রোল বোমা মারে। তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। আমার সামনেই জিনিসগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তারপর তারা দ্রুত আবার মোটরবাইকে করে চলে যায়। আমাদের ক্ষয়ক্ষতি প্রায় কোটি ছাড়িয়ে গেছে।’

এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, ‘আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম সবাইকে একটা সুন্দর কনসার্ট উপহার দেওয়ার জন্য। কিন্তু যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে আমার ভাষা নাই প্রকাশ করার মতো। তবে আমি এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি সবকিছু ঠিকঠাক মতো করছিলাম কিন্তু এখানে পেট্রোল বোমার ঘটনা ঘটেছে যা লজ্জাজনক।’